পদযাত্রা শেষে তারা হাই কমিশনের কাছে একটি স্মারকলিপি দেবে।
Published : 08 Dec 2024, 12:50 PM
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমননার প্রতিবাদে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছে বিএনপি সমর্থক তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
পদযাত্রা শেষে তারা হাই কমিশনের কাছে একটি স্মারকলিপি দেবে।
বেলা সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রায় তিন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।
নয়া পল্টনে ট্রাকে স্থায়ী মঞ্চ থেকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
সেখানে এম মুনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না বলেন, “আমাদের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ভারতের উগ্রবাদী শাসকগোষ্ঠী যে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে নিয়ে, আমরা তার প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচি নিয়েছি।
“আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, এসব করে কোনো লাভ হবে না। এদেশের মানুষ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছে। এতে রক্ষার জন্য আমরাও সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত।”
পদযাত্রায় তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেন।
এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকাল থেকে নয়া পল্টনের মিচিল নিয়ে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ মোড় থেকে ফকিরেরপুল মোড় পর্যন্ত জনস্রোত তৈরি হয়।
নেতাকর্মীরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা’, ‘রুশ-ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘স্বাধীনতা এনেছি, স্বাধীনতা আনব’, ‘রক্তে কেনা স্বাধীনতা, ভারতের আধিপত্য মানি না, মানব না’, ‘প্রতিবেশী বন্ধু চাই, প্রতিবেশী প্রভু নয়’, ‘ভুটান নয়, সিকিম নয়, এদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
পদযাত্রাটি শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক মোড়, রামপুরা হয়ে বারিধারায় ভারতের হাই কমিশনে যাবে।
গত সোমবার ডানপন্থি একটি হিন্দু সংগঠনের আহ্বানে কিছু বিক্ষোভকারী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালায়। তারা সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে। পরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে ওই বিক্ষোভ হওয়ার কথা বলা হয় এসব খবরে।