তফসিলের আনন্দ মিছিলে সন্ত্রাসীরা ভেসে যাবে: মায়া

‘দুই-একটা বাসে আগুন জ্বালিয়ে তফসিল ঘোষণা পেছাতে পারবে না। ঢাকা শহরে আমরা আছি,” বলেন মায়া।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ আনন্দ মিছিল করবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

তিনি বলেছেন, “যেহেতু তফসিল ঘোষণা হবে, আনন্দ মিছিল হবে। শত শত জায়গায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সর্বস্তরের জনগণ আনন্দ মিছিল করবে।

“আনন্দ মিছিলে এ (বিএনপি) সন্ত্রাসীরা ভাইসা যাবে, খুঁইজা পাওয়া যাবে না। কিছুই করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।”

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার সকালে অবরোধবিরোধী এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।

মায়া বলেন, “আজকে তফসিল ঘোষণা হবে। বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছে। তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত। আর দুই-একটা বাসে আগুন জ্বালিয়ে তফসিল ঘোষণা পেছাতে পারবে না। ঢাকা শহরে আমরা আছি।”

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখসহ বিস্তারিত দিনক্ষণ জানা যাবে বুধবার সন্ধ্যায়। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এই নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ কতটা প্রস্তুত- এমন প্রশ্নের জবাবে মায়া বলেন, “আগেই বলেছি আমরা শতভাগ প্রস্তুত। আমরা সবভাবে প্রস্তুত। নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত আমাদের নেতাদের সমন্বয়ে আমরা সারা বাংলাদেশ এভাবে শান্তি এবং পাহারায় থাকব। নির্বাচন পর্যন্ত যেন কোনো বানচাল এবং ভণ্ডুল করার চেষ্টা না করে।”

বাসে আগুন ও চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকার উৎখাত করা যায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিএনপি-জামায়াতের গত ১৪ বছর থেকে একই কথা- শেখ হাসিনা সরকারকে হটাও, সামনের শুক্রবার আমরা ক্ষমতায় যাব, ঈদের পরে ক্ষমতায় যাব, জুমার পর ক্ষমতায় যাব। এভাবে তারা সাড়ে চৌদ্দ-পনের বছর কাটিয়ে দিয়েছে।

“আন্দোলনে যখন কোনো জনগণের সম্পর্ক না থাকে, সে যেই হোক, তার পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না। আর জোর-জবরদস্তি করে, বাসে আগুন দিয়ে, চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকারকে উৎখাত করা যায় না।”

সরকারকে ‘বটগাছের’ সঙ্গে তুলনা করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “একে ফেলতে গেলে ওই ধরনের শক্তি দরকার। এই ২৮ তারিখে তারা বলেছিল, শেখ হাসিনার পতন হবে, তারা ক্ষমতায় যাবে। ২৮ তারিখে যে প্যাদানিটা খাইছে, এখন তাদের খবরই নাই। কোন গর্তে ঢুকেছে তাও খুঁজে পাওয়া যায় না।”