Published : 03 May 2025, 01:15 PM
আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার আট মাস পরে যেসব দাবিতে আজ আমরা এখানে জমায়েত হয়েছি, সেটা আমাদের জন্য গর্বের কিছু নয়, বরং এটি আমাদের জন্য লজ্জার।
“৫ অগাস্ট সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, হাসিনার পুনর্বাসনের প্রতি সারা বাংলাদেশের মানুষ রেডকার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। ৫ অগাস্ট আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই ভূখণ্ডে আওয়ামীলী গের আর পুনর্বাসন হবে না।
“যে আওয়ামী লীগ আমাদের দাড়ি-টুপিওয়ালা ভাইদেরকে বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে রাস্তায় নামিয়ে এনে হত্যা করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আর পূনর্বাসন হবে না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সময়ের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আট মাস পরে এসে আমাদের দেশের অনেক রাজনৈতিক দল, অনেক রাজনীতিবিদ আমাদেরকে বারবার মনে করিয়ে দেয়, আওয়ামী লীগ নাকি রাজনৈতিক দল এবং এই রাজনৈতিক দল নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার এখতিয়ার নাকি আমাদের নেই।”
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত কিছুদিন আগে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেই সিদ্ধান্ত নাকি আওয়ামী লীগের। আপনি ভুলে যাবেন না, আমরা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি করবে না, নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ মারা গিয়েছে বাংলাদেশে, আর জানাজা হয়েছে দিল্লিতে। শহীদদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আসবে না। এই সংস্কার আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। একাত্তর পরবর্তী সময়ে আপনারা দেখেছেন শেখ মুজিব সর্বপ্রথম বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। এই বাকশালি দিয়ে ৩০ হাজার জাসদকর্মীকে হত্যা করে সারা বাংলাদেশে কসাইতন্ত্র কায়েম করেছে। তাদের লুটপাটের কারণে চুয়াত্তর সালে দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ মানুষ মারা গিয়েছে।”
আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, “এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে আমরা সংস্কার করতে চাই। প্রয়োজন হলে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা হাসিনার ফাঁসি নিশ্চিত করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”