সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করার কথাও বলেন তিনি।
Published : 27 Apr 2025, 08:44 PM
গেল বছরের জুলাই-অগাস্টে গণ আন্দোলনের পর জনগণ নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে বলে মনে করেন গণফোরামের ইমিরেটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন৷
রোববার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে নিজের ৮৮তম জন্মদিনের আয়োজনে বর্ষীয়ান এই আইনজীবী বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা। কিন্তু বিগত ৫৪ বছরে তা অর্জনে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
“তবে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশের জনগণ স্বপ্ন দেখছে স্বাধীন ও বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশের।”
গণ-অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র-জনতার যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তা দেশ গড়ার কাজ লাগাতে পারলে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
ড. কামাল বলেন, “যথাসময়ে যাতে সংস্কার কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়, সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে৷ এর মাধ্যমে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সুগম হবে৷
“আপনাদের সবাইকে নিয়ে আমরা যেন দেশে সুশাসন কায়েম করতে পারি, গণতন্ত্র কায়েম করতে পারি। গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে পারি সেই কাজে আমরা আছি, থাকব।”
তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করার কথাও তিনি এ সভায় বলেন৷
সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা চলছে বলে সভায় মন্তব্য করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান৷
শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বলেন, “সংস্কারের নামে এখন কেবল সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে৷ বিরাজনীতিকরণের অপচেষ্টাও হচ্ছে এখন৷ জনআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে জনপ্রশাসন, বিচার প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের সংস্কার করতে এক, দুই মাস সময়ই যথেষ্ট৷”
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, “দেশে যদি নির্বাচন না হয়, দীর্ঘদিন ধরে যদি একটা অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকে তবে জবাবদিহিতার জায়গা থাকে না৷ আর তাই মানুষের মনে টেকসই গণতন্ত্রের প্রশ্ন উঠেছে৷ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একটি গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম গঠনে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন৷”
এর আগে কামাল হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণফোরামের সভাপতি পরিষদের সদস্য এ কে এম জগলুল হয়দার আফ্রিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আলতাফ হোসেন।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সভাপতি পরিষদের সদস্য মোশতাক আহমেদ, সুরাইয়া বেগম।