জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘আতঙ্কের মাঝে’ দায়িত্ব পালন করতে হয় বলে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘সেল্ফ সেন্সরশিপ’ করতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, “গণমাধ্যম দুর্বল হলেই সমাজে জবাবদিহিতার ঘাটতি হয়, ফলে দুর্নীতি বেড়ে যায়। দেশের গণমাধ্যমকে দুর্বল করে পরোক্ষভাবে দেশকে অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য বানাতে সহায়তা করা হচ্ছে।”
রোববার জাতীয় সাংবাদিক ঐক্যের (এনইউজে) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার এ মন্তব্য আসে বলে পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
জি এম কাদের বলেন, “টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়া আতঙ্কের মাঝে দায়িত্ব পালন করে। প্রাণ খুলে কথা বলতে পারে না কেউ। খবর প্রকাশে নিজেরাই নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ বা সেল্ফ সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছে।”
যে দেশের সংবাদমাধ্যম যতটা স্বাধীন, সে দেশের গণতন্ত্র ততটাই শক্তিশালী মন্তব্য করে তিনি বলেন, “একটি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেখে সহজেই বোঝা যায়, সে দেশের গণতন্ত্রের হাল হকিকত। দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে না।”
সেন্টার ফর গর্ভনেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) পরিসংখ্যান তুলে ধরে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, “গেল ২ বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়ে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তৈরি হয়েছে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে। এই কালো আইন অবিলম্বে সংশোধন করা জরুরি।”
সাগর-রুনি হত্যাসহ সব সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, “সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ পিছিয়েছে ৯১ বার। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি।
“১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী “
এনইউজের আহ্বায়ক খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব মিজান আহমেদ, রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবু, এনইউজের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান শিশির, কেন্দ্রীয় সদস্য একে সালমান, সুমন ইসলাম, আসাদুজ্জামান আফজাল, রিপন মাহমুদ।