ইসরায়েল-ফিলিস্তিন: শত্রু-মিত্র চিনলি নারে মন!

হাসান মাহমুদহাসান মাহমুদ
Published : 11 June 2021, 07:06 PM
Updated : 11 June 2021, 07:06 PM

মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূ-রাজনীতির কথা আমি বলবনা; কারণ পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে- 'যা জানোনা তার পেছনে পড়োনা'। সূরা বনি ইসরাইল ২৬। আমি শুধু বলবো, বিশ্বের হিংস্রতম দানব রাষ্টের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতার কথা, বিশ্বব্যাপী ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে বিন্দু বিন্দু ন্যায়শক্তিকে একত্রিত করার কথা।   

১৯৩৪ সালে লণ্ডন থেকে ভারতে ফিরে জিন্নাহ মৃতপ্রায় অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগকে চাঙা করতে ভারত ভ্রমণের অংশ হিসেবে ১৯৩৮ সালে বাংলায় আসেন। বাংলায় তখন ফজলুল হকের বিপুল জনপ্রিয় কৃষক-প্রজা পার্টির নেতারা মৃতপ্রায় বেঙ্গল মুসলিম লীগেরও নেতা। প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে খাজা-গজাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র 'ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি' এবং কলকাতায় হাসান ইস্পাহানী সাহেবের ছোট্ট দল 'নিউ মুসলিম মজলিস'। কৃষক-প্রজা পার্টিকে বাংলা থেকে বের করে সর্বভারতীয় অঙ্গনে আনা দরকার, তাই নেতাদের সাথে জিন্নাহর আলোচনা চলছিল। কিন্তু একদিন তিনি 'ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি'-র খাজা নাজিমুদ্দীনের সাথেও কথা বলেছিলেন। এতে কৃষক-প্রজা পার্টির নেতারা খাপ্পা হলে জিন্নাহ বলেছিলেন, ভারতের বিন্দু বিন্দু মুসলিম শক্তিকে একত্রিত না করলে তিনি জয়ী হবেন না।  

এটাই মূল কথা, বিন্দু বিন্দু শক্তিকে একত্রিত করা। এর সাথে যোগ করুন আড়াই হাজার বছর আগের প্রাজ্ঞ সান জু – "KNOW THY ENEMY", তোমার শত্রুকে চিনে নাও। মুদ্রার উল্টোপিঠে অব্যক্ত আছে -"তোমার বন্ধুকে চিনে নাও"। 

পশ্চিমা দেশে কারা ফিলিস্তিন ও মুসলিমের বন্ধু? উদাহরণ অজস্র। ২০০৫ সালে রসূল (স)-এর কুখ্যাত ড্যানিশ কার্টুনের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ গর্জে উঠেছিলেন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ ইহুদী ধর্মনেতা রাবাই জোসেফ সিটরুক। বলেছিলেন, '

কার্টুন প্রকাশের পরে বিশ্ব-মুসলিমের যে ক্রোধ তাকে আমি সম্পূর্ণ সমর্থন করি। কোন ধর্মকে অপমান করিয়া কেহই কিছু লাভ করিতে পারে না, ইহা অত্যন্ত অসৎ কর্ম।

একইভাবে গর্জে উঠেছিলেন ক্যালগেরির সর্বোচ্চ ইহুদী ধর্মনেতা রাবাই নেলসন-ও, মুসলিমদের প্রতিক্রিয়ার অনেক আগেই। 

এ তো গেল ধর্মগুরুদের কথা। সাধারণ মানুষদের কী খবর? ২০০৯ সালের প্যালেস্টাইনে গণহত্যার বিরুদ্ধে টরন্টোতে ইহুদী নারীরা ইসরায়েলী দূতাবাসে ঝটিকা প্রবেশ করে চিৎকার করে অবস্থান ধর্মঘট করেছিল। তাদের হাতে পোস্টার ছিল -''হে ফিলিস্তিনিরা, আমরা তোমাদের সাথে আছি''। পরে পুলিশ ডেকে তাদের জোর করে বের করে দেওয়া হয়। গত কয়েক সপ্তাহ আগেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে সব ধর্মের লাখ লাখ মানুষ। উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক থেকে স্পেনের মাদ্রিদ, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে ইরাকের বাগদাদ, মধ্যপ্রাচ্যের ও জার্মানীর বার্লিন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, লাইপজিগ, স্টুটগ্রার্ট, মিউনিখ, হামবুর্গ, কোলন, হ্যানোভার ও হিল্ডেসহাইম শহরে, লণ্ডনে, ফ্রান্সের প্যারিসে, লিওঁ, বোর্দো, মার্সেইসহ অন্যান্য শহরে, কোপেনহেগেনে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নে, টোকিওতে। সিবিসি নিউজ মে মাসের ২২ তারিখে খবর প্রচার করে- 'প্যালেস্টাইনের সমর্থনে (টরন্টো শহরের – লেখক) ইয়ং-ডানডাস স্কয়ার লোকে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। জনতা ইসরায়েল কনসুলেটের দিকে অগ্রসর হয়।'

কারা এরা? বিশ্বের হিংস্রতম দানব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কারা এ লাখ লাখ শস্ত্রবিবেকের দল? করোনাভাইরাসের এ দহনকালে গৃহকোণের নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে এরা কারা প্ল্যাকার্ড হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে ছুটে গিয়েছে ইসরায়েলের দূতাবাসগুলোর সামনে, পুলিশের তাড়া ও প্রহার খেয়েছে? গ্রেপ্তার হয়েছে? শুধুই কি মুসলিম?  

না, তাদের অধিকাংশই অমুসলিম। অথচ আমাদের অহরহ শুনতে হয় বাঁজখাই গলার হুংকার, "পশ্চিমা বিশ্ব মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, যুদ্ধ ঘোষণা করেছে"।   

শত্রুমিত্র চিনলি না রে মন!     

বিশ্বময় ছড়ানো ছিটানো এগুলো কি শক্তিহীন শুভশক্তি? মোটেই নয়। 'বীরভোগ্যা বসুন্ধরা' সত্য, কিন্তু দিনশেষে মানবের হাতে দানব পরাস্ত হয়েছে বলেই সভ্যতা এগিয়েছে। হ্যাঁ, ইসরায়েল সমর্থক মুসলিম বিদ্বেষী এক শক্তিশালী ইহুদী চক্র প্রবলভাবে প্রভাবান্বিত করে চলেছে আমেরিকার সরকার ও সংবাদমাধ্যম। এর মধ্যে আছে ব্রিজিটি গ্যাব্রিয়েল, পামেলা গ্যালার, রবার্ট স্পেনসার, ডেভিড ইয়েরুসালমী, রেমন্ড ইব্রাহিম -এর দল। বিস্তারিত আমি জানিনা কেননা ওটা আমার সাবজেক্ট নয়। এ মুদ্রার উল্টো পিঠটা দেখা যাক এবারে।         

আমেরিকান মুসলিমেরা (জনগণের মাত্র ১% এর মতো) আতঙ্কে ত্রাসে অস্থির হয়ে পড়েছিল ২০০১ সালে নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর। কারণ ক্রুদ্ধ ৯৯ শতাংশ অমুসলিমের একাংশও যদি অস্ত্রহাতে মুসলিমদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাহলে কেয়ামত হয়ে যাবে। তখন কী করেছিল সাধারণ অমুসলিম জনগণ? শোনা যাক এক বাঙালি আমেরিকানের কাছ থেকে, সংক্ষেপে:  

নর্থ ফার্স্ট স্ট্রিটে ঘুরতেই চোখে পড়ল গাছপালার আড়ালে পুলিশের গাড়ি। পুলিশ কর্ডন করে রেখেছে পুরো মসজিদ এলাকা। আমরা নামাজ পড়লাম নির্বিঘ্নে। বিস্মিত হয়েছিলাম মসজিদের লবিতে বিশাল ফুলের তোড়া দেখে, সাথে চিরকুটে লেখা ছিল – ''আমরা তোমাদের প্রতিবেশী, তোমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী, অতীতের মত আগামীতেও আমরা পাশাপাশি থাকব শান্তির সাথে।" ওই তিনদিনে প্রায় পঞ্চাশটা মেসেজ রেকর্ড হয়েছিল মসজিদের টেলিফোনে। তার একটা ছিল চরম বিদ্বেষময় অশ্লীল গালিতে পূর্ণ, করিৎকর্মা পুলিশ দ্রুত ধরে জেলে পুরেছিল মেসেজদাতা যুবককে। বাকি উনপঞ্চাশটা মেসেজগুলোর মূল কথাই ছিল ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব আর সহযোগিতার আগ্রহ। এমনকি কোন কোন মেসেজে এমনও বলা হয়েছিল যে, ''যদি তোমরা দোকানে-বাজারে যেতে ভয় পাও তবে সংকোচ না করে আমাদেরকে বলো, আমরা করে দেব তোমাদের হাট-বাজার।"

('নতুন দেশ' পত্রিকা, ঈদসংখ্যা, ৮ সেপ্টেম্বরে ২০১০।)

পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এমন আশাব্যঞ্জক বিবৃতি প্রকাশের জন্য।    

এরাই সভ্য মানুষ। এরাই আলোকিত মানুষ তা সে যে ধর্মেরই হোক না কেন। এরা জানেন, পুরো একটা জাতি নিজদেশে পরবাসী হয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম নির্যাতিত আহত-নিহত হয়ে চলেছে সেটাই সবচেয়ে বড়ো কথা। বিষয়টা মুসলিম-অমুসলিমের নয়, দানবের হাতে মানবের রক্ত ঝরছে- সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমাদের একাত্তরের মতো হামাসও সেখানকার মুক্তিকামী যোদ্ধার দল বলে পরিচিত তারা তাদের জন্মভূমি স্বাধীন করার যুদ্ধ করছে, তাদেরকে তো ইসরায়েল-সমর্থক গোষ্ঠী 'সন্ত্রাসী' ঘোষণা করবেই। একই চরিত্রের অপশক্তি নেতাজী সুভাষকে জাতিসংঘের 'ওয়ার ক্রিমিন্যাল' তালিকায় যোগ করে রেখেছে, কোনও ভারতীয় সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়নি। বিশ্বময় ইসরায়েল-বিরোধী বিন্দু বিন্দু শক্তির উদাহরণ অজস্র, যেমন গাজায় হত্যা বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিবের জরুরী হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে লণ্ডনভিত্তিক 'ভয়েস ফর জাস্টিস' সংগঠন। ড. জন এসপোসিটো, নান ক্যারেন আর্মস্ট্রং-এর মতো অনেক বিখ্যাত মুসলিম-বান্ধব অমুসলিম স্কলারেরা রয়েছেন, তাদেরকেও আমাদের চিনে নেওয়া দরকার।           

এতো গেল মানবিক মানুষ ও তাদের সংগঠন। ইসরায়েলবিরোধী খোদ ইহুদী সংগঠন ও ইহুদী স্কলারদের কী খবর? তাদের মধ্যে ফিলিস্তিনবান্ধব ও ইসরায়েলবিরোধী কেউ আছেন কি? হ্যাঁ, আছেন এবং তাদের সংখ্যাও অজস্র। তারা জানেন ইহুদী ধর্ম অর্থাৎ 'জুদাইজম' ও 'ইহুদীবাদ' অর্থাৎ 'জায়োনিজম' এক তো নয়ই বরং পরষ্পর বিরোধী। তারা জানেন ইহুদী ধর্ম হযরত মুসার (আ) ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত, এবং ইহুদীবাদ হিংস্রতা-ভিত্তিক রাজনৈতিক স্বার্থে হযরত মুসা-কে (আ) অপব্যবহারের ওপর প্রতিষ্ঠিত। স্মর্তব্য, চার্চ-শাসিত খ্রিস্টান রাজত্বে ইহুদীরা শত শত বছর অত্যাচারিত হয়েছে, তারা কখনোই পরষ্পরের বন্ধু ছিলনা। অতি সংক্ষেপে, বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইহুদী-খ্রিস্টানের রাজনৈতিক চক্রটি 'পরষ্পর' এর হয়ে বিশ্ব-নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে। এই 'একে অপরের বন্ধু' ইহুদী-খ্রিস্টান জুটির কথাই কোরান বলেছে, "হে মুমিনগণ, তোমরা ইহুদী ও নাসারাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা পরষ্পরের বন্ধু"। – সূরা মায়েদা ৫১। এদের সাথে কোটি কোটি সাধারণ কৃষক শ্রমিক, চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী ইহুদী-খ্রিস্টানকে জড়িয়ে ঢালাওভাবে 'মুসলিম বিদ্বেষী' দাবি করে ঘৃণা ছড়ানোটা আত্মপ্রতারণা মাত্র। দুনিয়াটা এমনিতেই সংঘাতে ভরে গেছে, এবারে সখ্যের সন্ধানে যাওয়া যাক।   

যাওয়া যাক মধ্যপ্রাচ্যের তৈল-সম্রাটদের কাছে কারণ ফিলিস্তিনে মুসলিম রক্তস্রোতের বিরুদ্ধে তাদেরই বলিষ্ঠভাবে দাঁড়ানোর কথা। রসূল (স) বলেছেন- "মুমিনদের পরষ্পরের ভালোবাসা, হৃদ্যতা ও আন্তরিকতার উদাহরণ একটি দেহের মতো। যখন এর কোনও অঙ্গ ব্যথা পায়, তখন সারা দেহ নিদ্রাহীনতা ও জ্বরগ্রস্ত হয়ে ব্যথা পায়।" (সহি মুসলিম ৬২৫৮, সহি বুখারী ৮ম খণ্ড)  

অবাক কাণ্ড! তারা তো দেখছি ফিলিস্তিনদের রক্তস্রোতে মোটেই 'নিদ্রাহীনতা ও জ্বরগ্রস্ত হয়ে ব্যথা' পাচ্ছেন না!  তারা বরং ইসরায়েলের সাথে নব নব রাজনৈতিক অনুরাগে উৎফুল্ল। ওদিকে সৌদি বোমায় ধ্বংসপ্রাপ্ত মুসলিম দেশ ইয়েমেনের দুর্ভিক্ষে অনেক উদ্বিগ্ন অমুসলিম সংগঠন 'নিদ্রাহীনতা'য় ভুগে বিশ্ববাসীর কাছে চাঁদা ভিক্ষে করে বেড়াচ্ছে। আর এদিকে জাতিসংঘে সাতান্নটি মুসলিম-প্রধান দেশের শক্তিশালী 'অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন' কুম্ভকর্ণ সংক্রমিত সুখনিদ্রামগ্ন।  

শত্রুমিত্র চিনলি না রে মন !     

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এত বছরের কোটি মুসলিমের বুকভাঙা দোয়া কেন কবুল হচ্ছেনা সেটাও একটা রহস্য। প্রচেষ্টাহীন প্রার্থনা স্রষ্টাকে শুধু বিরক্তই করে বুঝি! কিন্তু তাহলে? তাহলে 'ধ্বনিয়া উঠিছে শূন্য নিখিলের পাখার এ গানে, হেথা নয় অন্য কোথা, অন্য কোথা, অন্য কোন্‌খানে'- কবিগুরু। এবারে ইসরায়েলবিরোধী খোদ ইহুদী ব্যক্তি ও সংগঠনের খোঁজে চলুন অন্য কোথা, অন্য কোনখানে।

ক. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সোচ্চার আন্তর্জাতিক ইহুদী সংগঠন 'নিউট্রি কার্টা'র ধর্মগুরুরা।

 খ. বিশেষ করে 'ইহুদীবাদ' ও 'ইহুদী রাষ্ট্রে'র বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য ১৯৪২ সালে ইহুদী সংগঠন 'আমেরিকান কাউন্সিল ফর জুডাইজম' প্রতিষ্ঠিত হয়। 

গ. ইংল্যাণ্ডে লেবার পার্টির সাংসদ জেরাল্ড কফম্যান (উনি ইহুদী) দাবি করেছিলেন, গাজাতে ইসরায়েল (হিটলারের) নাৎসী পার্টির মতো নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছে। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র-অবরোধ প্রয়োগ করার দাবিও জানিয়েছিলেন। (খবর: সিএনএন ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯।) 

এগুলো অসংখ্য উদাহরণের মাত্র কয়েকটা। বিশ্বে ফিলিস্তিনের শত্রুরা সামরিক শক্তিশালী, কিন্তু তারা সংখ্যায় কম। ফিলিস্তিনের বন্ধুরা সামরিকভাবে দুর্বল, কিন্তু তাদের সংখ্যা অগণিত। সংখ্যাও একটা পরাক্রান্ত শক্তি, বিশ্বময় ছড়ানো ছিটানো এ বিন্দু বিন্দু পরাক্রান্ত শক্তিকে একত্রিত করলেই দানব দমন করা যাবে। 

কাজটা রাজনৈতিক ও ইসলামী নেতাদের।