বাংলার ‘দস্যুরানি’- দেবী চৌধুরানী

দেবী চৌধুরানী। ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসে যে কয়জন নারী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি।

এইচ এম শরিফুল হাসানএইচ এম শরিফুল হাসান
Published : 20 Feb 2012, 06:21 AM
Updated : 8 March 2022, 02:24 PM
দেবী চৌধুরানী। ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসে যে কয়জন নারী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। বঙ্কিমচন্দ্রের একই নামের উপন্যাস থেকে মুভি বানিয়েছিলেন পরিচালক দীনেন গুপ্ত। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন।
উপন্যাস নাকি মুভি কোনটা বেশি বিখ্যাত এটা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও 'দেবী চৌধুরানী' শুনলে এখনও মানসপটে ভেসে ওঠে সুচিত্রা সেনের মুখ। অবশ্য যারা সিনেমাটি দেখেছেন, শুধু তাদেরই এরকম মনে হবে। আবার উপন্যাস পড়তে পড়তে প্রশ্ন জাগে, একি শুধুই লেখকের কল্পনা, নাকি বাস্তবের চরিত্রকেই দেওয়া হয়েছে দস্যুরানীর রূপ?
উপন্যাসের শুরু হয় এক ব্রাহ্মণ পিতৃহীন বিবাহিত মেয়েকে দিয়ে। নাম তার 'প্রফুল্ল'। বিয়ের পরেই তার শ্বশুর তাকে অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেন এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য চুরি-ডাকাতি করতে বলেন। সে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফিরে যায় এবং অনেক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ভবানী পাঠকের সাথে তার দেখা হয়।
কিংবদন্তী রয়েছে, ভবানী পাঠক নিজে ডাকাত সর্দার ছিলেন। অনেকটা রবিনহুডের মতো। ডাকাতি করলেও নিজে সন্ন্যাসীর মতো জীবন যাপন করতেন। অত্যাচারী ইংরেজ ও দেশীয় জমিদারদের ওপর লুটতরাজ চালিয়ে তা দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
ভবানী পাঠক তাকে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন এবং দীর্ঘ পাঁচ বছর গণিত, দর্শন, বিজ্ঞান ও কুস্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতায় প্রফুল্ল একসময় ডাকাতদের রানী হয়ে যান। সংসার ত্যাগের দশ বছরের মধ্যে সারা বাংলায় তিনি দেবী চৌধুরানী নামে পরিচিত হন।
ধনীদের কাছে থেকে ডাকাতি করা অর্থ ছিনিয়ে গরিব-দুঃখী মানুষদের মাঝে অকাতরে বিলিয়ে দিতেন 'দেবী চৌধুরানী'। আদতে কে ছিলেন বাংলার একান্ত নিজস্ব রহস্যময়ী এই 'ব্যান্ডিট কুইন'?
জানা যায়, সেই সময় রংপুরে মোট ১২ জন দেবী চৌধুরানী ছিলেন। বহু জমিদার-পত্নীর পরিচয় সেখানে নথিভুক্ত করা হয়েছে 'দেবী চৌধুরানী' নামে। তাহলে এদের মধ্যে সেই বীরাঙ্গনা কে, যার বিশাল পাইক-বরকন্দাজের কথা বঙ্কিম উল্লেখ করেছেন? যিনি এক হাতে লুঠতরাজ চালিয়ে অন্য হাতে বিলিয়ে দিয়েছেন গরিব প্রজাদের মধ্যে?
বঙ্কিমচন্দ্র স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, এটি মোটেও ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। তবু ভবানী পাঠক, ডাকাত দল, সন্ন্যাসী বিদ্রোহের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা এক তথাকথিত সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার এই কাহিনি পড়তে পড়তে মনে হয়, কত যত্ন নিয়ে সত্য কাহিনি আর কল্পনার মিশেলে সাহিত্যসম্রাট বুনেছিলেন প্রফুল্লের চরিত্র।
বঙ্কিমচন্দ্র যে বর্ণনা দিয়েছেন, তাতে দেখা যায়, প্রফুল্ল নিবিড় জঙ্গলের মধ্যে যেখানে অগাধ গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছিলেন, অর্থাৎ মৃত্যুপথযাত্রী কৃষ্ণগোবিন্দ দাস যে অট্টালিকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তা ছিল উত্তরবঙ্গে।
উপন্যাসে উল্লেখ রয়েছে যে, এই অট্টালিকাটি উত্তরবঙ্গের নীলধ্বজবংশীয় শেষ রাজা নীলাম্বর দেবের। উপন্যাসেই প্রমাণ মেলে, সেই সময়ে অবিভক্ত বাংলার উত্তরাংশের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন দেবী চৌধুরানী।
দেবী চৌধুরানী ও তার গুরু ভবানী পাঠকের নামে একাধিক মন্দির আছে ভারতের উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায়। জলপাইগুড়ি শহরের গোশালা মোড়ে রয়েছে দেবী চৌধুরানী কালী মন্দির। সন্ন্যাসীকাটা মার্কেটের কাছে শিকারপুর চা-বাগানে রয়েছে ভবানী পাঠকের মন্দির। বেলাকোবা-রাধামালি রোডে রয়েছে মন্থনী মন্দির।
উল্লেখ্য, উপন্যাসের দস্যুরানীর বিচরণক্ষেত্র ছিল রংপুর। রংপুরের সাথে জলপাইগুড়ির কী সম্পর্ক? অবিভক্ত বাংলায় জলপাইগুড়ি আলাদা জেলা গঠনের আগে মূলত তিস্তার পশ্চিম পাড়ের অংশের নাম ছিল বৈকুণ্ঠপুর। ভবানী পাঠকের মন্দির রয়েছে যে শিকারপুরে, তা-ও এখনকার বৈকুণ্ঠপুরের মধ্যেই পড়ে। সেই আমলে ইংরেজদের করদ রাজ্য হিসেবে বৈকুণ্ঠপুর ছিল রংপুর কালেক্টরেটের অন্তর্গত।
১৮৮২ সালে ব্রিটিশ রাজের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এই অঞ্চলে এসেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। আর উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশ হয় ১৮৮৪ সালে। সেসব ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো লেখনির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
উপন্যাসে বারবার ত্রিস্রোতা নদীর কথা বলেছেন বঙ্কিমচন্দ্র। এই ত্রিস্রোতা নদীতেই বজরা ভাসাতেন দেবী চৌধুরানী। সেই ত্রিস্রোতাই আজকের 'তিস্তা' বলে মনে করা হয়।
তবে ইতিহাসের অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উল্লিখিত প্রফুল্ল নয় বরং 'দেবী চৌধুরানী' ছিলেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার জয়দুর্গা দেবী। শিবুকুণ্ঠিরাম গ্রামের ব্রজ কিশোর রায় চৌধুরী ও কাশিশ্বরী দেবীর মেয়ে।
মন্থনা তথা পীরগাছার জমিদার নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং সন্ন্যাস বিদ্রোহের সময় তিনি সেই এলাকার জমিদার ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর নিঃসন্তান জয়দুর্গা ১৭৬৫-১৮০১ পর্যন্ত মন্থনা এস্টেটের দায়িত্ব সামলেছিলেন একা হাতে।
পলাশী পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর দিনাজপুর-রংপুর জেলা বহুদিন ধরে অশান্তি ও উপদ্রবের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছিল। সেই সময় রংপুর অঞ্চলের কালেক্টর হয়ে আসেন জনাথন গুডল্যাড এবং তার দেওয়ান নিযুক্ত হন দিনাজপুরের দেবী সিংহ। দেওয়ান মানে হচ্ছে অর্থমন্ত্রী, রাজস্ব আদায়কারী। দেবীসিংহ ও তার কর্মচারী হরে রামের উপর রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেন।
ওয়ারেন হেস্টিংসের নির্দেশে বৈকুণ্ঠপুর অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের জন্য অমানবিক অত্যাচার শুরু করে দেবী সিংহ। রাজস্থানের মাড়োয়ারী বণিকদের অগ্রদূত ছিলেন কুখ্যাত দেওয়ান এই দেবী সিংহ।
শহরের গুড়গোলা মহল্লায় তার রাজবাড়ী তুল্য প্রাসাদ ও বিরাটাকার আড়ত ছিল জানা যায়। বর্তমানে বাড়ির চিহ্নমাত্র টিকে আছে। ভাগ্যক্রমে এই একই মহল্লার পৈতৃক নিবাসে আমার ছেলেবেলা কেটেছে। আসতে যেতে দেখতাম আর ভাবতাম কে ছিল এই প্রাসাদোপম বাড়িতে একটা সময়ে?
দেবী সিংহের হাত থেকে দরিদ্র প্রজাদের বাঁচাতে বড় ভূমিকা নেন জয়দুর্গা। তিনি হয়ে ওঠেন তাদের রক্ষাকর্ত্রী।
রাজস্ব আদায়ের সময় তাদের অত্যাচারে কৃষক এমনকি জমিদাররাও অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এছাড়াও সেই সময় ইংরেজ নীলকরদের অত্যাচার বেড়ে যায়, তারা জোরপূর্বক উর্বর জমিতে কৃষকদের নীলচাষ করতে বাধ্য করা শুরু করে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে দেবী চৌধুরানী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। জয়দুর্গার নেতৃত্বে দেবী সিংহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন প্রজারা। মনে করা হয়, এই জয়দুর্গার আদলেই উপন্যাসের নায়িকাকে গড়ে তুলেছিলেন বঙ্কিম।
সে সময়ে বাংলার যে ১৫টি বড় জমিদারি, রাজা, মহারাজা ইংরেজদের নিত্য সহযোগী ছিলেন বাংলার বিদ্রোহীরা কেবল তাদের কাচারি লুট করেছেন, অত্যাচারী কর্মচারী ধরে নিয়ে টাকা আদায় করেছেন। সেগুলোর মধ্যে সর্বাগ্রে দিনাজপুর জমিদারি, মোমেন শাহী জমিদারি, ঘোড়াঘাট জমিদারি, নাটোর জমিদারি, দিঘাপাতিয়া জমিদারি ও মুক্তাগাছা জমিদারির উল্লেখ পাওয়া যায়।
বাংলার ফকির সন্ন্যাসীদের বিদ্রোহ সম্ভবত ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময় সংঘটিত হয়েছিল বলে জানা যায়।
তাদের দমন করার জন্য মীর কাশিমের নেতৃত্বে একদল ইংরেজ সৈন্যবাহিনী পাঠানো হয়। এ যুদ্ধে দেবী চৌধুরানীর সাথে ফকির মজনু শাহ, নূর উদ্দিন বাকের মুহাম্মদ জং, ভবানী পাঠক, নূরল দীনসহ দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া অঞ্চলের কয়েক হাজার কৃষক অংশ নেন।
যুদ্ধে ইংরেজ ক্যাপ্টেনসহ অনেকে নিহত হন এবং মীর কাশিম পিছু হটতে বাধ্য হন। দেবী চৌধুরানীর যুদ্ধে জয়লাভের স্থানটি এখনও মানুষের কাছে 'জয়পুর' নামে পরিচিত। সেখান থেকেই হয়তো জয়পুরহাট জেলার নাম এসেছে।
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় অবস্থিত দেবীগঞ্জ উপজেলা। অনেকের মতে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহের অন্যতম রূপকার ও খ্যাতিমান নেত্রী দেবী চৌধুরানীর অবাধ বিচরণস্থল ছিল এ এলাকাটি। করতোয়া, তিস্তা, আত্রাই ও কুড়ুম নদীতে ঘেরা এখানকার ঘন বনাঞ্চলে ব্রিটিশদের সাথে তিনি কয়েক দফা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বিজয়ী হন। তার স্মৃতি থেকেই এর নামকরণ হয় "দেবীগঞ্জ'।
দেবী চৌধুরানী'র নিজস্ব বিরাট বরকন্দাজ বাহিনী ছিল। এই বাহিনীর সংখ্যাও ছিল প্রায় ৫০ হাজারের মত। সেই বরকন্দাজ বাহিনীর শৌর্য উপন্যাসেও উল্লেখ করা হয়েছে। ভবানী পাঠক উত্তর প্রদেশের ভোজপুর বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। তার নামানুসারে দিনাজপুরের ভবানীপুর নামক একটি রেলস্টেশন রয়েছে।
তার ও ভবানী পাঠকের মিলিত বাহিনীর সঙ্গে ইংরেজ সেনাপতি লেফটেন্যান্ট ব্রেনানের ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে গোবিন্দগঞ্জের কাছে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ভবানী পাঠক ও তার দল সম্মুখযুদ্ধে ক্যাপ্টেন ব্রেনানের হাতে সদলবলে নিহত হন।
দেবী চৌধুরানী সম্পর্কে ব্রেনান কৌতূহল প্রকাশ করেছিলেন মাত্র। কারণ দেবী চৌধুরানীর কোন সন্ধান তিনি পান নাই। অথবা ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গেছেন। তবে তার নৌকা থেকে ডাকাতি করা ও বিরাট বরকন্দাজ বাহিনী পোষা ইত্যাদি সম্পর্কে তিনি যতদূর সংবাদ পেয়েছিলেন তা রংপুরের কালেক্টর গুডল্যাড সাহেবকে জানিয়েছিলেন।
বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস এইসব ইতিহাসকে খুব অল্পই ধারণ করে। তিনি নিজেই বলেছেন, "দেবী চৌধুরানী গ্রন্থের সঙ্গে ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরানীর সম্বন্ধ বড় অল্প। দেবী চৌধুরানী, ভবানী পাঠক, গুডল্যাড সাহেব, লেফটেনান্ট ব্রেনান এই নামগুলি ঐতিহাসিক। দেবী চৌধুরানীকে ঐতিহাসিক উপন্যাস বিবেচনা না করিলে বড় বাধিত হইব।"
দেবী চৌধুরানীর পরাজিত হওয়ার স্থানে বাংলা বৈশাখ মাসের প্রতি বৃহস্পতিবার মেলা বসে, যা 'নাপাইচন্ডি' মেলা নামে পরিচিত। তার নামে রংপুরে দেবী চৌধুরানী ডিগ্রি কলেজ, চৌধুরানী রেলস্টেশন, চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়, চৌধুরানী বাজার ইত্যাদি রয়েছে।
একটি সাধারণ মেয়ের প্রতিবাদের কাহিনী হিসেবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৮৪ সালে 'দেবী চৌধুরানী' উপন্যাসটি রচনা করেন। যদিও ইংরেজদের আজ্ঞাবহ এবং তাদের নিয়োগকৃত কর্মচারী হিসেবে কোন আঙ্গিক থেকে তিনি এসকল ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করেছিলেন তা নিয়ে বিস্তর আলোচনার সুযোগ থেকে যায়।
ইংরেজরা তাদের চিঠিপত্রে এই দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদেরকে 'ফকির সন্ন্যাসী' না বলে বলতেন 'লুটতরাজকারী'। সেই মুক্তিযোদ্ধাদের একজন ছিলেন এই মহীয়সী নারী। অথচ তার কথা প্রামাণ্য দলিল ইতিহাসে সেভাবে পাওয়া যায় না।
এরপর একশো বছরের বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে; সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ঘটে গিয়েছে কতই না পরিবর্তন, কিন্তু আমাদের অনুভূতির জগতে কি কোন পরিবর্তন ঘটেছে?
সময়ের স্রোতে দেবী চৌধুরানীর স্মৃতি যতই ফিকে হােক না কেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার সংগ্রামের স্বর্ণালি ইতিহাস বয়ে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কারণ তাদের মতাে বিপ্লবীরা এসেছিলেন বলেই যুগে যুগে অসহায় মানুষদেরকে রক্ষার জন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম গড়ে তােলা সম্ভব হয়েছে।
দেবী চৌধুরানী তাই অতীত হয়েও বর্তমানের সমস্ত ন্যায়ের সংগ্রামে আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল।