সংকটাপন্ন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ দিয়ে শেখ হাসিনাই পারেন রাজনীতির রুদ্ধ দুয়ার খুলে দিতে। প্রচলিত আইন কেন মানবিকতার পথে বাধা হবে?
Published : 11 Oct 2023, 01:10 AM
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি গত কিছু দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছিল যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে জার্মানিতে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু শেষে কেন যেন সেটা আর হয়নি। কিন্তু ৯ অক্টোবর সোমবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের চিকিৎসা দিয়ে তাকে আর বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তাই চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাঁকে বিদেশের উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। বোর্ড বলছে, তাদের হাতে আর কোনো অপশন নেই।
চিকিৎসকেরা বলছেন, কিছু ওষুধপত্র ও সীমিত পদ্ধতির ওপর ভর করে বর্তমানে কোনোমতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এটা সাময়িক। এখন অনেক উচ্চমানের অ্যান্টিবায়োটিকও কাজ করছে না। এ অবস্থায় মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকিতে আছেন তিনি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল জানিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ফুসফুসে একটা সংক্রমণ হয়েছে। এখন সেই সংক্রমণের চিকিৎসা চলছে। মাঝে মাঝে ওনার অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি ব্লিডিংও হয়েছে। ভর্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত ওনাকে ৮ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার জন্য “টিপস” নামক একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। টিপস করা হলে পেটে, বুকে আর পানি আসবে না। কিন্তু বাংলাদেশে টিপস করানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন বাংলাদেশে হয় না। এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। আমি মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে সর্বসম্মতভাবে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা মনে করি বিদেশের উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব।’
গত ৯ অগাস্ট থেকে এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতির লক্ষণ না থাকায় বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতির জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে লিখিত আবেদনও করেন তিনি। ওই আবেদনটির আইনি দিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সেদিন বলেছিলেন, ‘আবেদনটি অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।’ যদিও এক সপ্তাহ আগে তিনি বলেছিলেন ‘আইনের বর্তমান অবস্থানে থেকে সরকারের আর কিছুই করার নেই’।আইনমন্ত্রী ‘যাচাই-বাছাই করে স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার’ কথা বলার পর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে- ‘সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে’। দলটির নেতাকর্মীদের অনেকে সামাজিকমাধ্যমে এমন পোস্টও দিয়েছেন; যেখানে বলা হয়েছে ‘শেষ পর্যন্ত জার্মানি নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে’। গত ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে দলীয় চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নেতাকর্মীদের সামনেই ‘কেঁদেছেন’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছিলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেছেন আপনাদের কিছু করার থাকলে করেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। অবিলম্বে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে না পারলে বাঁচানো দুষ্কর হবে। এ সময় সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেত্রী জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন, অন্যথায় এর সমস্ত দায়-দায়িত্ব এই সরকারকেই নিতে হবে।’ পত্রিকায় এমন খবরও বের হয় যে, একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে সরকার। এক্ষেত্রে অনুমতি দিলেও কিছু দেশের নাম উল্লেখ করে শর্ত দিতে চায়। সেক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড কিংবা এশিয়ার কোনো দেশে চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু বিএনপি চায় জার্মানি কিংবা যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিএনপি চেয়ারপারসন আগে এসব দেশে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। তাছাড়া তিনি যেসব রোগে ভুগছেন এবং তার শরীরের বর্তমান যে পরিস্থিতি সেই সবের উপযুক্ত চিকিৎসা উল্লিখিত তিনটি দেশেই সম্ভব। একটি পত্রিকায় খবর বের হয়, খালেদা জিয়াকে কিছু আইনি বাধ্যবাধকতাও পূরণ করতে হবে। এগুলো হলো, খালেদা জিয়া বর্তমানে যে বিশেষ বিবেচনায় জামিনে রয়েছেন, প্রথমে সেটি বাতিল করতে হবে। এটি বাতিল হলে তাকে কারাগারে যেতে হবে। কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা যেহেতু ভালো নয়; এজন্য এভারকেয়ার হাসপাতাটিকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা করে জামিনের আবেদনটি বিবেচনায় আনা হবে। তবে সেক্ষেত্রেও কিছু শর্ত থাকবে— যে দেশে তাকে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে, তিনি সেখানেই যেতে পারবেন, চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো কাজ তিনি সেখানে করতে পারবেন না, চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্যাদি সরকারের কাছে নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে, চিকিৎসা শেষ করে তিনি দেশে ফিরবেন— এই মর্মে মুচলেকা দিতে হবে, একজন জামিনদার থাকবেন যিনি শর্ত ভঙ্গের দায়-দায়িত্ব নেবেন। কিন্তু হঠাৎ আবার হাওয়া বদলে যায়।
কেউ কেউ মনে করে, সরকার হয়তো বেগম জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর আগে বিএনপির সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় আসতে চেয়েছিল। কিন্তু বেগম জিয়া এতে সম্মতি না দেওয়ায় সেটা আর আগায়নি। এরমধ্যে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে একটি সংবর্ধনায় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে বলেছেন, ‘রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। বয়স তো আশির ওপরে। এমনি তো সময় হয়ে গেছে, তার মধ্যে অসুস্থ। এখানে এত কান্নাকাটি করে তো লাভ নাই।’
খালেদা জিয়ার প্রতি শেখ হাসিনার কোনো ধরনের সহানুভূতি থাকার কোনো কারণ নেই। বরং তিনি জানেন, তার জীবননাশের কোনো সুযোগই হয়তো বেগম জিয়া ও তার অনুসারীরা হাতছাড়া করতে চায় না। এটাও কারও অজানা নয় যে, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মানবিক আচরণ করেননি। প্রতিহিংসাপরায়ণতাই বিএনপি রাজনীতির বৈশিষ্ট্য। অথচ এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় দুই দল যুগপৎভাবে অগ্রসর হওয়ায় সমঝোতার রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। তাছাড়া এটাও ঠিক যে দেশে এখন যে অসুস্থ ধারার রাজনীতিরও শুরু করেছে বিএনপিই।
আমার সাংবাদিক বন্ধু মাহবুব কামাল বিএনপির অপরাজনীতির একটি বিশ্বাসযোগ্য তালিকা করেছেন। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজিত হওয়ার পর এদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ২০০১ সালে। ১৯৯৬ সালে বিএনপি বিচারপতি মুহম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে যে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল, সেটা শান্তিপূর্ণ নয়। প্রবল আন্দোলনের মুখে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যুক্ত করে বিএনপি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছিল। ২০০১ সালে শেখ হাসিনা যে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিচয় দিয়েছিলেন, তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার প্রয়োজন ছিল; কিন্তু বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা নেওয়ার পর সেই সংস্কৃতি আমলে নেয়নি। পরবর্তী অর্থাৎ ২০০৬ সালের নির্বাচন ম্যানিপুলেট করার লক্ষ্যে প্রথমে তারা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকখ্যাত সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করে তাদের দেশছাড়া করার অপচেষ্টা চালায়। এরপর ধর্মকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে ইসলামী জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। এতেও তারা আশ্বস্ত হতে পারেনি। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালায়। ওই অভিযানে ব্যর্থ হয়ে (যদিও ওই হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন) তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ম্যানিপুলেট প্রক্রিয়ায় হাত দেয়। এ প্রক্রিয়ায় এক সময়কার বিএনপি নেতা কেএম হাসান যাতে ইমিডিয়েট পাস্ট প্রধান বিচারপতি হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হতে পারেন, সে জন্য বিচারপতিদের বয়স বাড়ানো হয়। কেএম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সংবিধানের আলোকে ওই পদের জন্য পরবর্তী অপশনগুলো যাচাই না করেই রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহমেদকে যুগপৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান করা হয়। তৈরি হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। এ প্রেক্ষাপটেই এক-এগারোর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখলেন আঘাতপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যন্ত্রণায় ধড়ফড়াচ্ছে। তিনি এই ধড়ফড়ানি সহ্য না করে এক কোপে ব্যবস্থাটির ধড় ও মুণ্ডু আলাদা করে তার কবরের শান্তি নিশ্চিত করলেন, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। চারদলীয় জোট সরকার যদি শেখ হাসিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২০০৬ সালে নিয়মতান্ত্রিক ইমিডিয়েট পাস্ট প্রধান বিচারপতির হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করত, তাহলে এক-এগারোও ঘটত না, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাও বহাল থাকতো। এরপর ২০০৮ সালে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসেছিল। কিন্তু বিএনপি পরাজয়কে সহজভাবে নিতে না পেরে যে রাজনৈতিক কৌশল নেয়, যা আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈরিতাই বাড়িয়ে তোলে।
২০১৪ সালে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নিত, আগুন সন্ত্রাসের পথে না যেত, তাহলে একদিকে সংসদের ১৫৩টি আসনে আওয়ামী লীগ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেত না, অন্যদিকে বিএনপিকেও সংসদীয় রাজনীতির বাইরে থাকতে হতো না। তবে শেখ হাসিনা তো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। তার মানবিক গুণাবলি সব মহলেই প্রশংসিত। এখন সংকটাপন্ন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ দিয়ে শেখ হাসিনাই পারেন রাজনীতির রুদ্ধ দুয়ার খুলে দিতে। প্রচলিত আইন কেন মানবিকতার পথে বাধা হবে? দেশের মানুষ যে মানবিক, উদার শেখ হাসিনাকে চেনে তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার বয়স ও অসুস্থতা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য বেমানান। যিনি বাবা-মা-ভাই-ভাবীসহ অসংখ্য স্বজন হারিয়ে বেদনায় দিশেহারা না হয়ে মানুষের দুঃখ মোচনের রাজনীতি করছেন, তার কাছে মানুষের প্রত্যাশা সব সময় বেশি থাকে। খালেদা জিয়া তার সঙ্গে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করেছেন বলেই তিনি কেন নিজেকে হৃদয়হীন হিসেবে উপস্থাপন করবেন? তাকে যারা হত্যার চেষ্টা করেছে, তারা এখন তার কাছে দলীয় প্রধানের জীবনরক্ষার জন্য করুণাপ্রার্থী। আইনের মারপ্যাচ না খুঁজে খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিয়ে শেখ হাসিনা রাজনীতিতে সমঝোতার বাতাবরণ সৃষ্টি করলে তো ক্ষতির কিছু নেই। মনে রাখতে হবে, আইন অপরাধীকে দণ্ড দিতে পারলেও জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা কোনো মানুষকে চিকিৎসা দিতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা, বঙ্গবন্ধু কন্যা কেন খালেদা জিয়ার রাজনীতির পাঠশালার ছাত্রী হবেন? বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের একটি সংলাপ আছে, ’তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?’ কিংবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই বিখ্যাত দুই পংক্তি : ‘উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে, তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে।’