Published : 14 Jan 2014, 12:49 AM
বার বার দৃশ্যটার ওপর চোখ আটকে যাচ্ছিল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছিল টেলিভিশনে। সেই সুবাদেই দৃশ্যটা দেখা। সংসদ নেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর পাশেই বসে আছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী।
আহা! এমন একটি দৃশ্য দেখার জন্য মিডিয়ায়, চায়ের দোকানের আড্ডায়, বাসে-ট্রেন, সামজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে কত না আকুতি দেখেছি দিনের পর দিন। সেই কবে, কোনো এক মাহেন্দ্রক্ষণে শেখ হাসিনা আর বেগম খালেদা জিয়া পাশাপাশি বসেছিলেন ক্ষণিকের জন্য। সেই ছবি ফেসবুকে কত যে শেয়ার হয়েছে– সেই সঙ্গে একই আকুতি– কবে আবার দুই নেত্রীকে একসঙ্গে, এক ফ্রেমে দেখা যাবে!
শেখ হাসিনার সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার টেলিফোন সংলাপটি যারা শুনেছেন, তারা জানেন, এই আকাঙ্ক্ষা কেবলই দিবাস্বপ্ন। দুজনের মুখোমুখি হওয়া তো দূরের কথা, পাশাপাশি বসারও সুযোগ বাস্তবে নেই। অথচ এটাই কিনা জনআকাঙ্ক্ষা! ৫ জানুয়ারির নির্বাচন রাজনীতির ল্যান্ডস্কেপটা আমূল পাল্টে দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ছিটকে পড়েছেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রীর অবস্থান থেকে। সেখানে এসেছেন জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ। নতুন বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ নতুন সরকারের মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পাশে বসে শপথ অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেছেন। এমন একটি দৃশ্য কখনও-ই কি বাংলোদেশে ঘটেছে?
প্রিয় পাঠক। রওশন এরশাদের বিরোধী দলীয় নেত্রী হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটটাও আমার মাথায় আছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের চিত্রটাও আমি ভুলে বসিনি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে রওশন এরশাদ এখন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং তিনি সংসদনেত্রীর পাশে বসে শপথ অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় কাটিয়েছেন। ব্যক্তি রওশন এরশাদকে বাদ দিয়ে যদি চিত্রটা বিশ্লেষণ করি, তাহলে কেউ অস্বীকার করবেন না যে এটাই আসলে প্রকৃত গণতন্ত্রের শিক্ষা এবং আকাঙ্ক্ষা।
দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ঐকান্তিক প্রত্যাশা কিন্তু এটাই। একটি দেশের সংসদনেত্রী আর বিরোধী দলীয় নেত্রীর মধ্যে কথাবার্তা তো দূরে থাক মুখ দেখাদেখিও হবে না, রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় কোনো আচার-অনুষ্ঠানে একজন গেলে আরেকজন অনুপস্থিত থাকবেন– এটা তো আর গণতান্ত্রিক আচার হতে পারে না। আর যে 'গণতন্ত্রে' জাতির সামান্য এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না, সেই গণতন্ত্রের প্রয়োজন আদৌ আছে কিনা, সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়।
পত্রিকা-টেলিভিশনে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির মতামত দেখলাম। তারা জাতীয় পার্টিকে ঠিক বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতেই চান না। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পণ্ডিতজন। তাদের ভাবনায় পাণ্ডিত্য আছে। আমি সাধারণ একজন মানুষ– যাকে বলে 'আমজনতা'। আমার ভাবনায় কোনো পাণ্ডিত্য নেই। তবে বিরোধী দলের কাজ নিশ্চয়ই কেবল আন্দোলন করা বা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে রাখাই নয়। সরকার আর বিরোধী দলের মধ্যে পারষ্পরিক সমঝোতায় এমনকি সুযোগ-সুবিধার লেনদেনেও যদি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকে, সন্ত্রাস বন্ধ থাকে, দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত না হয়, তাহলে কোনো পণ্ডিতি তত্ত্ব দিয়ে তাকে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে কি?
লেখক বন্ধু মাইনুল এইচ সিরাজীর একটা মন্তব্য ধার করে বলি– "সংসদ বর্জনকারী বিরোধী দল, নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিরোধী দল, সরকারকে একদিনও শান্তিতে থাকতে না দেওয়ার বিরোধী দল, লগি-বৈঠা-দা-খুন্তির বিরোধী দল হইতে গৃহপালিত বিরোধী দল উত্তম।" এনাফ ইজ এনাফ। অনেক তো হল। আমরা আন্দোলনের, অস্থিতিশীলতার বিরোধী দল দেখেছি। এবার না হয় 'সমঝোতার' বিরোধী দলই দেখলাম। দেশ যদি শান্ত থাকে, স্থিতিশীল থাকে, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়– তাহলে এই বিরোধী দলকে স্বাগত জানাতে দ্বিধা কেন?
আমি জানি ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা আছে,অনেক প্রশ্ন আছে। দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলকে বাইরে রেখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে শর্তহীনভাবে গ্রহণ করতে অনেকেরই দ্বিধা হবে। আবার এ-ও তো সত্য যে, বিএনপিকে সরকার জোর করে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখেনি। বরং বিএনপি স্বেচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপির একটাই পথ ছিলো-– নির্বাচন ঠেকিয়ে দেওয়া। স্মরণকালের ভয়াবহতম এবং নৃশসংতম সন্ত্রাস করেও বিএনপি তা পারেনি। জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনের মাধ্যমে তো নয়ই।
কাজেই নির্বাচন হয়েছে। হ্যাঁ, ১৫৩ আসনে কোনো ভোট হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকলে ভোট হবে কীভাবে? কোনো আসনে দ্বিতীয় প্রার্থী না থাকলে সেখানে ভোট বাতিল করে দিতে হবে– এমন কোনো বিধান আছে কি? যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, ওই আসনগুলোতে অন্য কোনো প্রার্থী ছিল না; তাই যারা প্রার্থী হয়েছেন, তারাই নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ যদি ওই আসনগুলোতে 'কলাগাছ'মার্কা প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিতেন, তাহলেই তো সেখানে ভোট নিতে হত। আওয়ামী লীগ সেই 'প্রতারণামূলক' কাজটি করেনি।
নির্বাচনের সমালোচকরা অনেক কথাই বলছেন। কেউ কেউ বলছেন, দেশে আসলে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। আশ্চর্য! দেশ রাজনৈতিক শাসনে ফিরে আসার পর থেকেই তো 'জোট' শাসন করছে। একদলীয় শাসন হল কীভাবে? কখনও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট, কখনও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট। এবার ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট। আর সংসদে কি কখনও-ই বিরোধী দল ছিল? বিএনপি যখন ক্ষমতায়, আওয়ামী লীগ তখন 'বর্জনে'। আওয়ামী লীগের পুরো সময়টাই তো বিএনপি সংসদের বাইরে থেকেছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে অনুপস্থিত থেকে বেতন-ভাতা নেওয়ার মতো অনৈতিক কাজটি করেছে দুদলই।
কেউ যদি সংসদেই না যায়, তাহলে তাকে বা তার দলকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়ারই-বা কী মানে! তার চেয়ে বরং এটিই ভালো। অন্তত সংসদ সদস্যরা সংসদে থাকুন। বাংলাদেশে আসলে ঐকমত্যের রাজনীতি দরকার, ঐকমত্যের সংসদ আর সরকার দরকার। আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টির এই ঐকমত্য যদি দেশে স্থিতিশীলতা দেয়, তাহলে এই রাজনীতিরই বিকাশ ঘটুক; অস্থিতিশীলতা আর সহিংসতার রাজনীতি চিরতরে বিলীন হয়ে যাক। সিডনি প্রবাসী কবি মিল্টন হাসনাত মনে করেন, আওয়ামী লীগের বিগত শাসনামলে প্রভূত উন্নতি হয়েছে, কিন্তু সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এবার অন্তত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হোক। আমরাও তো তাই চাই।
নতুন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আগ্রহ কিছুটা হলেও দেখা যাচ্ছে। বিগত সরকারের আমলে যে মন্ত্রী-এমপিরা সম্পদে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন, তারা এবার আর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি, শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া যারা নিবিড়ভাবে অনুসরণ করেন, তাদের জন্য এটি কিন্তু চমকে যাবার মতোই ঘটনা। 'সমালোচনার মুখে, দুর্নীতির অভিযোগ' ওঠায় কোনো মন্ত্রীকে শেখ হাসিনা কখনও-ই সরিয়ে দেননি। তাঁর গত পাঁচ বছরের শাসন তার সাক্ষী। আবুল হোসেনকে নিয়ে যত সমালোচনা হয়েছে, তার প্রতি সরকারের সমর্থন ততই দৃঢ় হয়েছে। আওয়ামী লীগ সেই অবস্থান থেকে সরে দাড়িয়েছে। এটাও কম কী!
তবে আ হ ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), শাহজাহান খান মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পেলে ষোলকলা পূর্ণ হত। পরিচ্ছন্ন ইমেজের মন্ত্রিসভায় এই দুজনের অন্তর্ভূক্তি কালো দাগ হয়ে রইল। শাহজাহান খানের ব্যাপার কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের– স্বার্থের দ্বন্দ্বের। তিনি একাধারে মন্ত্রী এবং শ্রমিক নেতা। এক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পদমর্যাদা নিয়েই তিনি আরেক মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের সঙ্গে দেনদরবারে বসেন। এটি সুশাসনের অন্তরায়।
আর লোটাস কামাল স্বচ্ছ বা পরিচ্ছন্ন ইমেজের মানুষ নন। শেয়ারবাজারের কেলেংকারির সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। ছিয়ান্নব্বইর কেলেংকারির পর তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়ার নির্দেশনায় এসইসি যখন কেলেংকারির নায়কদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে নেমেছিলেন, লোটাস কামাল তখন কেলেংকারির নায়কদের পক্ষে তার প্রভাবের পুরোটা্ই ব্যবহার করেছেন। তার নিজের বিরুদ্ধেও কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।
২০১০-১১ তে আবার যখন কেলেংকারি ঘটে, সেখানেও অভিযুক্ত হিসেবে তার নাম আসে। দেখা যাচ্ছে, শেয়ারবাজারে যখিই কেলেংকারি হয়, লোটাস কামালের নামটা সেখানে থাকেই। শেয়ারবাজারের মতো স্পর্শকাতর একাটি বিনিয়োগ মাধ্যমে কেলেংকারির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে যার বিরুদ্ধে, তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসানো বিনিয়োগকারীদের 'কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা' দেওয়ার মতো মনে হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা বিবেচনায় নিলে জনগণ আরও তৃপ্ত হত বলেই আমার বিশ্বাস।
আর হ্যাঁ, গত সরকারের বিতর্কিত মন্ত্রীদের নতুন সরকারে জায়গা না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেটি ভিন্নমাত্রা পাবে যদি ফুলে-ফেঁপে ওঠা মন্ত্রী-এমপিদের ব্যাপারে একটা তদন্তের উদ্যোগ নেন। এটি করা হলে নতুন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও বাড়বে নিঃসন্দেহে। একই সঙ্গে নতুন মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাবটা প্রকাশ করে দেওয়া হোক। আগামী নির্বাচনের হলফনামা থেকে তাদের সহায়-সম্পদের হিসাব তো জনগণ জানবেই। তাহলে সরকারের নিজের উদ্যোগে সেটি প্রকাশ করতে সমস্যা কোথায়!
সরকার কীভাবে চলবে সেটি সরকারেরই বিবেচনার বিষয়। আমরা নাগরিকরা আমাদের আকাঙ্ক্ষা জানাতে পারি মাত্র। ৫ জানুয়ারির ভোটের হার নিয়ে বিরোধী পক্ষের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীরা পশ্চিমা বিশ্বের ভোটের উদাহরণ টেনেছেন। এতে কিন্তু আমরা নাগরিকরা খুবই উদ্বেলিত হয়েছি। পশ্চিমা বিশ্বের ভোটের, সরকার পরিচালনার নানা দিকগুলো নতুন সরকার নিজেদের কর্মকাণ্ডে অনুসরণ করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস তৈরি হতে শুরু করেছে। নতুন সরকার নাগরিকদের সেই বিশ্বাসে সম্মান জানাবেন বলেই আমরা প্রত্যাশা করি।
এটা সত্য, পশ্চিমের রাজনীতির, সরকার পরিচালনার অনেক কিছুই অনুসরণ করতে খানিকটা সময় লাগবে। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আছে যা কেবল প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তেই সম্ভব। তার একটি হচ্ছে, মন্ত্রীদের, দলীয় নেতাদের বক্তৃতা-বিবৃতিকে একটা নিয়মের মধ্যে ফেলে দেওয়া। সরকারের মন্ত্রীরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড, পদক্ষেপ নিয়েই কথা বলবেন, সব বিষয়েই তারা বক্তৃতা করবেন না। সরকারের নীতিনির্ধারনী বিষয়ে কথা বলার জন্যও নির্দিষ্ট মুখপাত্র থাকা ভালো।
আওয়ামী লীগ গত পাঁচ বছরে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছে, অথচ সেগুলো ঠিকমতো প্রচার পায়নি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও বিভিন্ন সময় এ নিয়ে তাঁর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গত পাঁচ বছরে মন্ত্রীদের বক্তৃতাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, সরকারের মন্ত্রীরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড, পদক্ষেপ ও সফলতা নিয়ে খুব কমই কথা বলেছেন। তারা নিজেরাই যদি তাদের সাফল্যের কথা না বলেন, অন্যরা তাদের হয়ে সেটি বলে দেবে– এমন আশা করা কতটা যৌক্তিক।
মন্ত্রীরা, নেতারা যত কথা বলেন, তার অধিকাংশই অযৌক্তিক। এইসব কথাবার্তা বিতর্ক ছড়ায়, রাজনীতিতে উত্তাপও ছড়ায়। এখন তো আর আমরা উত্তাপের রাজনীতি চাই না; সংবেদনশীলতার, সহনশীলতার, উন্নয়নের রাজনীতি চাই। দলের ক্ষেত্রেও এই কথাটি প্রযোজ্য। দলের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে একজনই কথা বলুন। বাকিদের কাজ করতে দেওয়া হোক।
নাগরিকরা আসলে কাজ চায়– চাপাবাজি, বক্তৃতাবাজি নয়।
শওগাত আলী সাগর: দৈনিক প্রথম আলোর সাবেক বিজনেস এডিটর, টরন্টো থেকে প্রকাশিত নতুনদেশ ডটকমের প্রধান সম্পাদক।