ভারতে প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি পদের লড়াইয়ে অবশেষে উঠে এসেছে দুই বিশিষ্ট মুখ- শশী থারুর এবং মল্লিকার্জুন খড়গে।
Published : 01 Oct 2022, 01:54 AM
ভারতে অনেক জল্পনার পর অবশেষে প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টির সভাপতি পদের লড়াইয়ে উঠে এসেছে দুই বিশিষ্ট মুখ। তারা হচ্ছেন, শশী থারুর এবং মল্লিকার্জুন খড়গে।
ঝাড়খন্ডের কংগ্রেস নেতা কে এন ত্রিপাঠিও অবশ্য এ দৌড়ে আছেন। তবে আলোচনায় খুব একটা নেই তিনি। তাই সভাপতি পদের মূল লড়াইটা আদতে হতে চলেছে শশী থারুর এবং মল্লিকার্জুন খড়গের মধ্যে।
সভাপতি নির্বাচনে শুক্রবারই ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন৷। এদিনই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কেরালা থেকে নির্বাচিত লোকসভার সদস্য শশী থারুর ৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
মল্লিকার্জুন খড়গেও এদিনই মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তার সঙ্গে তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন ত্রিপাঠি।
এর আগে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন তুললেও শেষ মুহূর্তে তা দাখিল করেননি মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং। অন্যদিকে, রাজস্থানের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আগেই সভাপতির দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
তিনি সরে যাওয়ার পরই কর্ণাটকের দলিত নেতা মল্লিকার্জুন খড়গে শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাম লেখান শুক্রবার সকালে। এদিন খড়গের সঙ্গে বৈঠক করার পর দিগ্বিজয় সিং তার নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
আর শশী থারুরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে খড়গের নাম প্রস্তাব করেন কংগ্রেসের উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা। তাদের মধ্যে ভূপিন্দর সিং হুদা, দিগ্বিজয় সিং, মনিশ তিওয়ারি, আনন্দ শর্মা-সহ অনেকেই আছেন বলে জানিয়েছে ‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’।
খড়গে গান্ধীদের পছন্দের প্রার্থী। তিনি একটি দলের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে অন্যতম। একই সঙ্গে তিনি একজন দলিত প্রার্থীও। সেকারণে তিনি অনেকের সমর্থন পাচ্ছেন।
অন্যদিকে, শশী থারুর কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ শিবিরের নেতা। দলের জি-২৩ গোষ্ঠী বা বিক্ষুব্ধ ২৩ জন নেতার মধ্যে অন্যতম প্রধান মুখ তিনি। দলের ভেতরে খড়গের তুলনায় তিনি কম সম্ভাবনাময়। তারপরও দৌড় থেকে সরে যেতে নারাজ শশী।
আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। ফল প্রকাশ হবে ২৪ অক্টোবর। দীর্ঘদিন পর কংগ্রেসের এ সভাপতি নির্বাচন হতে চলেছে। প্রায় ২৫ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা পদে নেহেরু-গান্ধী বংশের বাইরের কাউকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।