ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে শ্রীলঙ্কার এক নাগরিককে হত্যার দায়ে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত।
Published : 19 Apr 2022, 10:40 AM
সোমবার একই মামলায় অভিযুক্ত ৮৮ জনের মধ্যে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অন্য আসামিদের দুই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ডিসেম্বরে পাকিস্তানের শিয়ালকোট শহরে কারখানা ব্যবস্থাপক ৪৮ বছরের প্রিয়ানথা দিয়াওয়াদানাগেকে পিটিয়ে হত্যার পর তার মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশবিক ওই হামলায় শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
ওই ঘটনা গোটা পাকিস্তানে আলোড়ন তোলে এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একে ‘লজ্জাজনক দিন’ বলে আখ্যা দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হত্যার দিনের ভিডিওতে দেখা যায়, উন্মত্ত জনতা দিয়াওয়াদানাগেকে তার কর্মস্থল থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে এনে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তারা মরদেহ পুড়িয়ে দেয়, ভিড়ের অনেককেই পুড়ে যাওয়া মরদেহের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে।
মৃতের স্ত্রী নিলুশি দিশানায়েকে ভিডিওটি দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “এটা খুবই অমানবিক একটা দৃশ্য ছিলো।”
বিবিসি জানায়, প্রিয়ানথা দিয়াওয়াদানাগে মহানবী (স.) নাম সম্বলিত পোস্টার ছিড়ে ফেলেছেন - এমন গুজব ছড়িয়ে পড়া থেকে মূলত সহিংসতার শুরু।
যে সহকর্মীরা দিয়াওয়াদানাগে রক্ষা করতে গিয়েছিলেন, তারা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, কারখানার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরুর আগে প্রিয়ানথা দিয়াওয়াদানাগে সেখান থেকে পোস্টারগুলো শুধু সরিয়ে নিয়েছিলেন।
বিবিসি লিখেছে, পাকিস্তানে এমনকী ধর্ম অবমাননার ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়েও সহজেই জনতাকে বিক্ষুব্ধ করে তোলা যায় এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ সহিংসতা চালানো হয়।