ভারতে কৃষক বিক্ষোভের ১০০ দিন

নতুন তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতে কৃষকদের টানা আন্দোলন শততম দিনে পৌঁছেছে।

>>রয়টার্স
Published : 6 March 2021, 09:24 AM
Updated : 6 March 2021, 09:24 AM

শনিবার বিক্ষোভের শততম দিনে কৃষকরা রাজধানী দিল্লির কাছে ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করেছেন।

কৃষকরা হেঁটে, গাড়ি, ট্রাক এবং ট্রাক্টরে করে বিক্ষোভস্থলে জড় হন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৬৮ বছরের কৃষক অমরজিৎ সিং বলেন, ‘‘মোদী সরকার কৃষকদের এই আন্দোলনকে তাদের মানসম্মানের বিষয় বানিয়ে ফেলেছে। তাই তারা কৃষকদের যন্ত্রণা দেখতে পাচ্ছে না।

‘‘তারা আমাদের সামনে বিক্ষোভ করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা রাখেনি।”

কৃষি সংস্কারের নামে গত বছর সেপ্টেম্বরে তিন নতুন কৃষি আইন পাস করে মোদী সরকার। কিন্তু কৃষকদের দাবি, ওই তিন আইনের ফলে বেসরকারি নানা বড় বড় কোম্পানি কৃষিখাতে হর্তাকর্তা হয়ে যাবে এবং দরিদ্র কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বেন।

গত ডিসেম্বর থেকে ভারতের বিশেষ করে উত্তরের কয়েকটি রাজ্যের কৃষকরা ওই তিন আইন সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।

নরেন্দ্র মোদী সরকার অবশ্য বলছে, কৃষি আধুনিকায়নের জন্যই নতুন তিন কৃষি আইন করা হয়েছে এবং এতে কৃষকরাই লাভবান হবেন।

নানা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভারতীয় কৃষকদের বিক্ষোভের খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হচ্ছে।

কৃষকরা সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। বেশ কয়েক দফা সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষনেতাদের বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু সংকটের কোনো সমাধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দিল্লি ও তার আশেপাশের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নেমে গিয়েছিল। প্রচণ্ড ওই ‍ঠাণ্ডার মধ্যেও কৃষকরা সড়কে খোলা আকাশের নিচে দিন-রাত অবস্থান করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে গেছেন।

সামনেই গরমের মৌসুম আসছে। দিল্লির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে।

পাঞ্জাবের কৃষক রাজা সিং (৫৮) বলেন, ‘‘ভয়ঙ্কর ঠান্ডা আমাদের আন্দোলনকে দমাতে পারেনি। প্রাণঘাতী গরমও পারবে না।”

ভারতে কৃষকদের এ টানা আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে। তবে গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আন্দোলনে উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল। ওই দিন পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত কৃষকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।