বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, দিল্লিতে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, মরোক্কো, ফিজি, নরওয়ে, ফিলিপিনস, আর্জেন্টিনা, পেরু, নাইজার, নাইজেরিয়া, টোগো এবং গায়ানার কূটনীতিকরা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’ জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার শ্রীনগর বিমনানবন্দরে বিদেশি কূটনীতিকদের এ দলটি পৌঁছনোর পর প্রথমে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সন্ত্রাসের হুমকির মুখে উপত্যকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে তাদের বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা কাশ্মীর সফরের আমন্ত্রণ তালিকায় থাকলেও তারা এ সফরে যেতে অস্বীকৃতি জানান। এ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বলেন, পূর্ব পরিকল্পনার ভিত্তিতে ছকে বাঁধা সফর মনে করে ইউরোপীয় ওই প্রতিনিধিরা সফর করতে চাননি। পরবর্তী একটি সময়ে কাশ্মীর সফরে গিয়ে তারা কাশ্মীরের আটক তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন।
এবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাদে অন্যান্য কূটনীতিকদের দলটি কাশ্মীরে পৌঁছে সেনাবাহিনীসহ রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে বলে জানিয়েছেন দুইজন কর্মকর্তা।
গতবছর ৫ অগাস্টে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়ে রাজ্যটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পর থেকে সেখানে ভারতীয় রাজনীতিক, মানবাধিকারকর্মী কিংবা সাংবাদিক কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না।
এখন দিল্লির এই কূটনীতিকদেরকে সেখানে ঢুকতে দেওয়ার উদ্যোগকে অবশ্য কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরারা। তাদের অভিযোগ, দিল্লির ঠিক করে দেওয়া পরিকল্পিত সফরসূচি অনুযায়ী তৈরি এ সফরে দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞায় মোড়া উপত্যকার প্রকৃত পরিস্থিতি বোঝা বহিরাগতদের পক্ষে অসম্ভব। বিদেশি কূটনীতিকদের মুখ দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে প্রচার করতেই ‘গাইডেড ট্যুর’-এর এ পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী নেতারা।