পরোয়ানা অনুযায়ী ২২ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত ও মুকেশ সিংয়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
তিহার জেলের ভেতর একই সময়ে চারজনের ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছে তারা।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ধর্ষণের শিকার ২৩ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ দিন পর মারা যায়। এ নিয়ে ভারত ও বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়।
দ্রুত বিচার আইনে ২০১৩ সালেই অভিযুক্ত এ চারজনের মৃত্যদণ্ডের রায় হয়েছিল। মৃত্যু পরোয়ানা জারি হওয়ায় এখন তাদের আইনজীবীদের হাতে বাকি আইনি লড়াইয়ের জন্য ১৪ দিন সময় থাকল।
ভারতের আইন অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত আবেদন এবং রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন খারিজ হওয়ার আগ পর্যন্ত কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায় না।
মঙ্গলবারের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের কাছে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। তিনি বলেন, সাজা কার্যকরের প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার কৌশল হিসেবেই অভিযুক্তরা সুপ্রিম কোর্ট বা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করছে না।
আদালতের মৃত্যু পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়েছেন নির্ভয়ার মা।
“এ রায় বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা ফেরাবে। আমার মেয়ে বিচার পাবে, এ দেশের মেয়েরা বিচার পাবে,” এনডিটিভিকে তিনি এমনটাই বলেছেন।
নির্ভয়াকাণ্ডে মোট ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৩ সালের মার্চে জেলের ভেতর রাম সিং নামে এক সন্দেহভাজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। সন্দেহভাজন অপ্রাপ্তবয়স্ক এক বালক ৩ বছর সংশোধনাগারে থাকার পর ২০১৫ সালে ছাড়া পায়।
ভারতে এর আগে ২০০৪ সালে চারজনের ফাঁসি হয়েছিল। দেশটিতে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ২০১৫ সালে, ইয়াকুব মেমনের। মেমন ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বোমা হামলায় অর্থায়নের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।