ভারতজুড়ে বিক্ষোভ চলছে, আটক কয়েকশ

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনসিআর)নিয়ে বিক্ষোভ চলছে। বিভিন্ন রাজ্যে মানুষ ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে।

>>রয়টার্স
Published : 19 Dec 2019, 11:16 AM
Updated : 19 Dec 2019, 11:16 AM

বিক্ষোভ ভয়ানক আকার নিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। বাস, গাড়ি, পুলিশ পোস্ট জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। চলছে ভাঙচুর। নয়াদিল্লি এবং ব্যাঙ্গালুরুতে পুলিশ বৃহস্পতিবার কয়েকশ’ জনকে আটক করেছে। অনেক জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট।

আটকৃতদের মধ্যে আছেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ, সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব, সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত-সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিও।

অশান্তির আশঙ্কায় বুধবার রাত থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। চার জনের বেশি লোকের জমায়েতের উপর জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু তা উপেক্ষা করে দিল্লির লাল কেল্লা এবং কর্ণাটকে ব্যাঙ্গালুরুর টাউন হলে বিক্ষোভকারীরা সমাবেশে নামলে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালায়।

ব্যাঙ্গালুরুতে পুলিশ প্রায় ২শ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে আটক হয়েছেন রামচন্দ্র গুহসহ আরও কয়েকজন প্রফেসর। রামচন্দ্রকে রীতিমত “টানাহ্যাঁচড়া করে গাড়িতে তোলে পুলিশ।” পুলিশ রামচন্দ্র গুহকে ঘিরে ধরলে তিনি বলেন, “আমি অহিংসভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অথচ তারা আমাকে থামিয়ে দিচ্ছে।”

ওদিকে, দিল্লির লাল কেল্লায় পুলিশ আকট করেছে প্রায় ১শ’ জনকে। এদের মধ্যে আটক হন সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ যোগেন্দ্র যাদব।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে ১০ টিরও বেশি শহরে একযোগে বিক্ষোভের পরিকল্পনা হয়েছে।গত সপ্তাহে আইনটি পাস হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে, কখনো কখনো সেই আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠছে।

বৃহস্পতিবার সহিংসতা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। সংবেদনশীল এলাকা হওয়ায় সকাল থেকে সেখানে বিপুল পুলিশ মোতায়েন ছিল। কারফিউ উপেক্ষা করেই বিক্ষোভে শামিল হয় মানুষ। পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছোড়া হয়।

মিছিল আটকানোর চেষ্টা করা হলে বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি মোটরবাইক ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সরকারি বাসও। একটি পুলিশ পোস্টে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় সরকারি সম্পত্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। করা হয় লাঠিচার্জ। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।