নাগরিকত্ব বিল: ‘মুসলিম হয়ে’ প্রতিবাদ করবেন সাবেক আমলা

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিল তোলার আগে থেকেই ভারতে অভিনব নাগরিক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2019, 09:25 AM
Updated : 11 Dec 2019, 09:25 AM

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, এত দিন রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ জানাচ্ছিল, ভারতের ৬২৫ জন বিশিষ্ট নাগরিকও নাগরিকত্ব বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন; এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে অন্য আর এক ধরনের প্রতিবাদ।

পরিচয় পাল্টে মুসলিম হয়ে প্রতিবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন লেখক, গবেষক, মানবাঅধিকার আন্দোলনকারী হর্ষা মন্দার। গুজরাট দাঙ্গার পর ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (আইএএস) চাকরি ছেড়েছিলেন তিনি।

মন্দার বলেছেন, “প্রথমে মুসলিম হিসেবে নাম নথিভুক্ত করবো। তারপর এনআরসি হলে কাগজপত্র জমা দিবো না। কাগজপত্র না থাকায় মুসলিমদের যে শাস্তি হবে, আমাকেও সেই শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলবো।”

প্রায় একই ধরনের ঘোষণা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিনান্স এন্ড পলিসির অর্থনীতিবিদ লেখা চক্রবর্তী। সুরা ফাতিহা জানেন জানিয়ে টুইটারে নিজেকে মুসলিম ঘোষণা করেছেন তিনি।

এনআরসি হলে কোনো কাগজপত্র জমা দেবেন না বলে জানিয়েছেন সম্প্রতি আইএএসের চাকরি ছেড়ে দেওয়া আরেক কর্মকর্তা শশীকান্ত সেন্থিল।

সত্যাগ্রহের ডাক দিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, “নাগরিক না বলে ঘোষণা দেওয়া হলে আটক কেন্দ্রে যাবো।”

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করার পর আইএএসের চাকরি ছেড়ে দেওয়া আরেক কর্মকর্তা কান্নন গোপীনাথনও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, এনআরসি-র বিরুদ্ধে মুসলিমদের প্রতিবাদী হতে বলে বিলটিকে ‘অমানবিক’ ও ‘অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

সরকারি পদক্ষেপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুসলিমদের প্রতিবাদ করার সব ধরনের অধিকার আছে বলে সরব হয়েছেন তিনি।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলে, এনআরসি হলে কাগজপত্র জমা দেবেন না বলে জানিয়েছেন দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা উমর খালিদ।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে ‘ভারতের ওপর নীতিগত আঘাত’ এবং এনআরসিকে ‘দৈনন্দিন জীবনের জন্য বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী করুণা নন্দী।