সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কার বিশেষ নিরাপত্তা বাতিল হচ্ছে, কংগ্রেসের বিক্ষোভ

ভারতে গান্ধী পরিবারের স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) নিরাপত্তা পরিষেবা তুলে নিচ্ছে কেন্দ্র। এর বদলে শুধু সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর 'জেড প্লাস’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, তার ছেলে রাহুল ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2019, 04:26 PM
Updated : 8 Nov 2019, 06:08 PM

খবরটি প্রকাশ হওয়ার পরই ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির কর্মীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ করেছে এবং পার্টি নেতারা স্যোশাল মিডিয়াসহ টিভি চ্যানেলগুলোতে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’র সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সরকারের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান। রাজনীতিবিদদের ওপর হামলার আশঙ্কার কারণে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। সম্প্রতি গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখার পরই তাদের বিশেষ নিরাপত্তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদবমাধ্যমকে জানিয়েছেন দিল্লির এক সরকারি কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘‘এসপিজি নিরাপত্তার আওতায় যারা থাকেন প্রতিবছরই তাদের ওপর হামলার আশঙ্কা কতটা রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখা হয়। গান্ধী পরিবারের উপর সম্প্রতি হামলার আশঙ্কা অনেকটাই কমেছে। এটা দেখেই এসপিজি নিরাপত্তার বদলে অন্য বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

এ নিয়ে গান্ধী পরিবার এখনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেনি। তবে এসপিজি জওয়ানদের ধন্যবাদ জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় টুইটারে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘বছরের পর বছর আমার পরিবার এবং আমার নিরাপত্তায় অক্লান্ত পরিশ্রম করার জন্য এসপিজির সব ভাই-বোনদের ধন্যবাদ। এ লম্বা যাত্রাপথে পাশে থাকার জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। অনেক ভালবাসা পেয়েছি। অনেক কিছু শিখেছি। আমার সৌভাগ্য যে আপনাদের সংসর্গে থাকার সুযোগ পেয়েছি। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা রইল।”

এনডিটিভি জানায়, এসপিজি জওয়ানদের কাজ এখন হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বিধান করা।

প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮৫ সালে তৈরি করা হয়েছিল এসপিজি বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নিরাপত্তা দেওয়াই বাহিনীর মুখ্য দায়িত্ব ছিল। ১৯৯২ সালে রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর এসপিজি নিরাপত্তার আওতায় আনা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এ নিরাপত্তা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বলে ইতোমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল।

অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘প্রতিশোধের নেশা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় অন্ধ হয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোনিয়া গান্ধী , রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত তারই প্রতিফলন।’’