কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান ৫৮ দেশের সমর্থন পাচ্ছে: ইমরান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে ৫৮টি দেশ কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। কাশ্মীরে কড়াকড়ি তুলে নেওয়া এবং কাশ্মীরিদের অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবিকে বেগবান করে ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়েছে তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2019, 01:16 PM
Updated : 13 Sept 2019, 01:16 PM

বৃহস্পতিবার ইমরান খান পাকিস্তানকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ওই দেশগুলোর প্রশংসা করেন বলে জানিয়েছে ‘দ্য ডন’ পত্রিকা।

এক টুইটে ইমরান বলেন, “১০ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার পরিষদে পাকিস্তানের পক্ষে যোগ দেওয়া ৫৮টি দেশকে সাধুবাদ জানাই। তারা ভারতের শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করা, অবরোধ ও অন্যান্য কড়াকড়ি তুলে নেওয়া, কাশ্মীরিদের অধিকার রক্ষা এবং সম্মান প্রদর্শনসহ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) প্রস্তাবনার মাধ্যমে কাশ্মীর বিরোধ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবিকে জোরাল করছে।”

দ্বিতীয় আরেকটি টুইটে তিনি বলেন, “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা, আন্তর্জাতিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় নানা চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে কাশ্মীর বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য মানবাধিকার পরিষদে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আহ্বানকে আমি স্বাগত জানাই।”

এর আগে মঙ্গলবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচসিআর) বৈঠকে পাকিস্তানের তোলা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। তারা বলেছে, “বিশ্বের সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল’ এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে লিপ্ত একটি জাতির কাছ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি “অতিরঞ্জিত বর্ণনা’ এসেছে।

ভারত এও বলেছে যে, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে যে আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে পাকিস্তানের মদদ দেওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে তাদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের প্রচার প্রত্যাখ্যান করে ভারত বলেছে, পাকিস্তান ওই আঞ্চলকে নিয়ে তাদের উচ্চাভিলাষের পথে এগুতে দুরভিসন্ধি নিয়েছে। জাতিসংঘ ফোরামকে রাজনীতিকরণ ও মেরুকরণ করার জন্যই ইসলামাবাদ এমন মনগড়া, মিথ্যা এবং অতিরঞ্জিত বিবৃতি দিচ্ছে।

ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে ‘এ গ্রহের সবচেয়ে বড় কারাগারে’ পরিণত করেছে এবং রাজ্যটিতে ‘মানবাধিকারকে পদদলিত করা হচ্ছে’ বলে এর আগে পাক-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি মন্তব্য করার পরই ভারত জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে ওই কথাগুলো বলেছে।