ভারত সরকার গত ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং রাজ্য ভাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই প্রায় গোটা অঞ্চলে কারফিউ জারি ছিল। বন্দি করা হয়েছিল চারশ’র বেশি নেতানেত্রীকে। সংবাদমাধ্যমের অবাধ প্রবেশও বন্ধ ছিল। মাঝখানে ঈদ উপলক্ষে কড়াকড়ি সামান্য শিথিল হলেও স্বাধীনতা দিবসে ফের নেওয়া হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
স্বাধীনতা দিবসের পরদিন শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম অবরুদ্ধ কাশ্মীর ধিরে ধিরে সচল হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
শনিবার শ্রীনগরের কয়েকটি অংশসহ কাশ্মীর উপত্যকার ১৭টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ল্যান্ডফোনের সংযোগও সচল করা হয়।
কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় শ্রীনগরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রোববার থেকে আবারও সেখানে নিরাপত্তা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলে জানায় এনডিটিভি।
যদিও ভারতীয় প্রশাসনের দাবি, কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও নতুন করে কারফিউ জারি করা হয়নি।
কিন্তু রোববার নগরীর বেশিরভাগ সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখা হয়। কোথাও কোথাও নিরাপত্তা বাহিনী স্থানীয়দের কারফিউ জারি করার কথা বলেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দুইজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, শ্রীনগরের ওল্ড সিটিতে শনিবার রাতে ভয়াবহ সংঘর্ষের পর অন্তত ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা প্রায় সবাই ছররা গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে রয়টার্স থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি প্রতিনিধি এবং দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যালয়ে টেলিফোন করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, শ্রীনগরের দুই ডজনের বেশি জায়গায় জনতা পুলিশের উপর পাথর নিক্ষেপ করেছে।