জম্মু ও কাশ্মীরে ল্যান্ডফোন, মোবাইল ইন্টারনেট আংশিক চালু

শ্রীনগরের কয়েকটি অংশসহ কাশ্মীর উপত্যকার ১৭টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ল্যান্ডফোনের সংযোগ সচল করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2019, 07:20 AM
Updated : 17 August 2019, 07:20 AM

শনিবার সকাল থেকে এসব সংযোগ চালু করা হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) ।

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে থেকে সেখানে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে এসব ফোন লাইন বন্ধ করা হয়েছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ পর সেগুলো আবার চালু হলো বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।  

কাশ্মীরের একশরও বেশি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে এই ১৭টির কার্যক্রম ফের শুরু করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কাশ্মীরের বুদগাম, সোনামার্গ ও মানিগাম এলাকায়, উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ, তাংমার্গ, উরি কেরান কার্নাহ ও টাংধর এলাকায় এবং শ্রীনগরের সিভিল লাইন এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এলাকায় ল্যান্ডলাইন সেবা সচল করা হয়েছে।

জম্মু অঞ্চলের জম্মু, রেয়াসি, সাম্বা, কাঠুয়া ও উধমপুর, এই পাঁচটি জেলায় টু-জি মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ ফের চালু করা হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি দপ্তরগুলোর কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন দাবি করেছে। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তারও পর্যালোচনা চলছে বলে জানিয়েছে তারা।

সোমবার থেকে ‘এলাকা অনুযায়ী’ স্কুল খুলবে এবং ধাপে ধাপে টেলিফোন সেবাগুলো চালু করা হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন মুখ্য সচিব বি.ভি.আর. সুব্রাহ্মনিয়াম।

প্রতিদিন কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতকে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এরপরও কাশ্মীর উপত্যকার কয়েকটি অংশ এখনও পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। কাশ্মীর উপত্যকার অধিকাংশ স্থানে ফোন সার্ভিস ও ইন্টারনেট সংযোগ স্থগিত আছে ও সেখানে কারফিউয়ের মতো বিধিনিষেধ বলবৎ আছে।  

কাশ্মীর উপত্যকার চারশরও বেশি রাজনৈতিক নেতাকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিও রয়েছেন।

৪ অগাস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে নজিরবিহীন নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলে টেলিফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে রেখেছিলো দিল্লি এবং এখনও লোকজনের অবাধ চলাচল ও জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে রেখেছে।

৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।