দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সঞ্জীবের অভিযোগ ছিল, মুসলিমদের উপর যাবতীয় আক্রোশ যাতে হিন্দুরা মিটিয়ে নিতে পারেন, দাঁড়িয়ে থেকে মোদী নিজে তারনির্দেশ দিয়েছিলেন।
এবার তিন দশকের পুরনো একটি মামলায় সেই কর্মকর্তারই যাবজ্জীবন সাজার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে,জামনগর থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকাকালে এক বন্দির মৃত্যুতে সঞ্জীব ভট্টের বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলছিল।
সে মামলায়ই তাকে দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাজা হয়েছে আরেক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা প্রবীণসিন জালারও। দোষী সাব্যস্ত আরও ছয় পুলিশ কর্মকর্তার সাজা ঘোষণা এখনও বাকি।
১৯৯০ সালে জামনগরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন সঞ্জীব ভাট। সে সময় লালকৃষ্ণ আদভানি ও তার সমর্থকদের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িকদাঙ্গা বাধে জামজোধপুর এলাকায়।
সে ঘটনায় সঞ্জীব ভট্ট প্রায় ১৫০ জনকে আটক করেছিলেন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রভুদাশ ভিশানি নামের একজন মুক্তি পাওয়ার পর হাসপাতালে মারা যান। হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশি নির্যাতনেই প্রভুদাসের মৃত্যু হয়েছে বলে সেইসময় দাবি করে তার পরিবার।
এ নিয়ে থানায় এফআইআরও দায়ের করেন প্রভুদাসের ভাই। তাতে সঞ্জীব ভট্ট এবং আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন তিনি।
সে মামলা চলাকালে ২০১১ সালে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে সঞ্জীব ভট্টকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল এবং ২০১৫ সালে সরকারি গাড়ি অপব্যবহারেরঅভিযোগে তাকে বরখাস্তও করা হয়েছিল।