শনিবার রাজ্যটির আওরঙ্গাবাদ, গয়া ও নাওয়াদা জেলায় অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
এদের মধ্যে আওরঙ্গাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ জেলায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আওরঙ্গাবাদের সরকারি একটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সুরেন্দ্র প্রাসাদ সিং জানিয়েছেন।
“জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক লোক চিকিৎসাধীন আছে। যারা মারা গেছেন তাদের সবাই উচ্চ-তাপমাত্রাজনিত জ্বরে ভূগছিলেন,” বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি এমনটি বলেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এর পাশাপাশি হিট স্ট্রোকে গয়ায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এসব মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ রুপি করে সহায়তার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
চলতি বছর ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলের বাসিন্দারা তীব্র তাপপ্রবাহের মোকাবিলা করছে। এরইমধ্যে উত্তর ভারতের চারটি শহর, রাজধানী দিল্লি, রাজস্থানের চুরু এবং উত্তর প্রদেশের বানডা ও এলাহাবাদের তাপমাত্রা ৪৮ সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
চলতি মাসের ২ জুন চুরুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
তাপমাত্রা দুই দিন ধরে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বা এর ওপরে বিরাজ করলে তীব্র দাবদাহ ঘোষণা করা হয়। পারদ ৪৭ ডিগ্রিতে পৌঁছলে তাকে ‘মারাত্মক তীব্র দাবদাহ’ বলা হয়।
এরমধ্যে বিহারে তীব্র এনসেফেলাইটিসেরও প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এই রোগে চলতি মাসে রাজ্যটির মুজ্জাফরপুর জেলায় ৭০টিরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।