উত্তর প্রদেশে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ৮ জনের মৃত্যু

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে চলতি মাসে হিংস্র কুকুরের কামড়ে আট জন মারা গেছেন, যাদের অধিকাংশই শিশু।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2018, 09:24 AM
Updated : 27 May 2018, 09:38 AM

গত ছয় মাসে রাজ্যের সিতাপুর জেলা ও আশপাশের এলাকাগুলোতে এসব কুকুরের কামড়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

গত ১৮ মে একদল হিংস্র কুকুরের কামড়ে আট বছর বয়সী এক বালিকা মারা যায়। এসব ঘটনায় ওই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সিতাপুরের খাইরাবাদ ব্লকের প্রায় ২২টি গ্রাম কুকুরভীতিতে আক্রান্ত হয়েছে। সিতাপুরে একের পর এক কুকুরের আক্রমণের ঘটনা লক্ষ্য করে ১৭ মে এলাহাবাদ হাইকোর্ট কুকুরভীতি দূর করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছে তা জানতে চায়।

আদালতের পর্যবেক্ষণ ও সিতাপুরজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ভীতি ও ক্ষুব্ধতার প্রেক্ষিতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ নেড়ি কুকুরের হামলার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেন।

এক বিবৃতিতে আদিত্যনাথ বলেন, “পুলিশ বিভাগ, প্রাণী স্বাস্থ্য বিভাগ, নগর কর্তৃপক্ষ ও নগর পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি যৌথ দল গঠনের মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লক্ষ্ণৌ ও বেরেলি থেকে বিশেষজ্ঞদের ডেকে এনে তদন্ত করা হবে।”

এরপর ১৮ মে তিনি সিতাপুর গিয়ে কুকুরের কামড়ে নিহত শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।

এরপর থেকে সিতাপুর জেলা প্রশাসন ড্রোন ও নাইট ভিশন দূরবীন ব্যবহার করে কুকুরদের অনুসরণ করা শুরু করে। ওই এলাকায় প্রায় ১০০টি হিংস্র কুকুরের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ২২টিকে ধরে লক্ষ্ণৌতে পাঠানো হয়। সেখানে কুকুরগুলোর আচরণ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

সিতাপুর জেলা হাকিম শীতল ভার্মা ২৪ ঘন্টা জরুরি সেবা চালু করা হয়েছে ও হেল্পলাইন স্থাপন করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন। হেল্প লাইনে কল করে এলাকাবাসী নেড়ি কুকুরের তথ্য দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

চলতি মাসের প্রথমদিকে বেরেলিভিত্তিক ভারতীয় পশুরোগ গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইভিআরআই) পরিচালক আর. কে. সিং বলেছিলেন, “কসাইখানাগুলো যখন চালু ছিল, কুকুরগুলো উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে থাকত। কিন্তু কসাইখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া পর কুকুরগুলোর খাবারের সংকট দেখা দেয়। এর আগে কখনো কুকুরের এত আক্রমণাত্মক আচরণের কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।”         

শনিবার আদিত্যনাথ মন্ত্রীসভার উন্নয়নমন্ত্রী সুরেশ কুমার খান্না বলেছেন, হিংস্র কুকুরের আক্রমণে নিহতের জন্য সরকারকে দায়ী করা যায় না।

“যদি একটি প্রাণী কোথাও প্রবেশ করে কাউকে কামড়ায়, তার জন্য সরকার বা প্রশাসন কীভাবে দায়ী হয়?” প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।