বুধবার মুম্বাইয়ের একটি আদালত রাজনসহ অভিযুক্ত ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলেও অন্যতম অভিযুক্ত সাবেক সাংবাদিক জিগ্না ভোরা ও জোসেফ পলসেনকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
সাবেক সাংবাদিক ভোরা এই হত্যাকাণ্ডে ছোটা রাজনকে প্ররোচনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
নিহত ৫৬ বছর বয়সী সাংবাদিক জ্যোতির্ময় মুম্বাইয়ের প্রথম সারির ইংরেজি দৈনিক ‘মিড ডে’-র অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিক ছিলেন।
তদন্তকারীদের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছেন, জ্যোতির্ময় ছোট রাজনকে নিয়ে একটি বই লেখার পরিকল্পনা করেছিলেন, যেখানে রাজনকে নগন্য একজন পেশাদার অপরাধী হিসেবে তুলে ধরার মনস্থ করেছিলেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত রাজন জ্যোতির্ময়কে হত্যার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জ্যোতির্ময় হত্যা করতে ছোটা রাজন, যার প্রকৃত নাম রাজেন্দ্র এস নিখালজে, পাঁচ লাখ রুপিতে পেশাদার এক খুনিকে ভাড়া করেন।
২০১১ সালের জুনে দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা চার ব্যক্তি মুম্বাইয়ের পওয়াইতে নিজ বাড়ির কাছে একটি মার্কেটের সামনে জ্যোতির্মযকে গুলি করে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ডের তিন মাস পর তৎকালীন এশিয়ান এজের ডেপুটি ব্যুরো প্রধান জিগ্না ভোরাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে মামলার তদন্ত উত্তেজনাপূর্ণ দিকে বাঁক নেয়।
জিগ্না ভোরার সঙ্গে ছোটা রাজনের যোগাযোগ ছিল এবং তিনি জ্যোতির্ময় হত্যায় ইন্ধন দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ পুলিশের।
২০১৫ সালের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আটক করার পর ছোটা রাজনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দেশে ফিরিয়ে আনার পর তার বিরুদ্ধে জ্যোতির্ময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। রাজন এখন ভারতের তিহার জেলে বন্দি আছেন।