কেন্দ্র থেকে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় আঞ্চলিক দলটির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ছাড়ছেন বলে বিজেপি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারে তেলেগু দেশম পার্টির দুই মন্ত্রীও ছিল; গত সপ্তাহে তাদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
“তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ক্ষমতাসীন জোট থেকে তাদের সমর্থন সরিয়ে নিচ্ছে,” নয়া দিল্লিতে বিজেপির এক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন।
অন্ধ্র প্রদেশে ক্ষমতাসীন টিডিপির লোকসভায় ১৬ জন সাংসদ রয়েছে। তারা সমর্থন তুলে নিলেও বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা অক্ষুণ্ন থাকবে বলে পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন।
বিহার ও উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর দক্ষিণের সবচেয়ে বড় শরিক টিডিপির সমর্থন প্রত্যাহার ২০১৯ এর সাধারণ নির্বাচনের আগে বিজেপির জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উপনির্বাচনগুলোতে মোদী ও বিজেপিবিরোধী ঢেউয়ের আলামত মিলেছে বলে দিল্লিতে থাকা সাংসদদের উদ্দেশ্যে টেলিকনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
এনডিটিভি বলছে, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্ধ্রকে বিশেষ ক্যাটাগরির প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা না করায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই টিডিপির সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মনোমালিন্য চলছিল।
আঞ্চলিক রাজধানী অমরাবতির উন্নয়নে কেন্দ্র থেকে বিপুল বরাদ্দ পেতে ওই ক্যাটাগরিতে থাকতে চেয়েছিল নাইডুর দল।
টিডিপির এ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস।
সমর্থন প্রত্যাহারের পাশাপাশি টিডিপি শুক্রবার লোকসভায় বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে বলেও ধারণা এনডিটিভির। অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানার প্রভাবশালী আরেক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এর মধ্যেই শুক্রবার এনডিএর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে লোকসভার সেক্রেটারি স্নেহলতা শ্রীবাস্তব বরাবর চিঠিও দিয়েছে।