ভিডিও: গুজরাটে সেতু ধসের ভয়ঙ্কর সেই মুহূর্ত

সোমবার দুপুর পর্যন্ত নদী থেকে ১৪১ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2022, 08:09 AM
Updated : 31 Oct 2022, 08:09 AM

ভারতের গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু ধসের মুহূর্তটি ধরা পড়েছে একটি সিসি ক্যামেরায়, যা প্রকাশ করেছে কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

মোরবি জেলায় মাচ্চু নদীর উপর শত বছরের পুরনো ওই ঝুলন্ত সেতুটি রোববার সন্ধ্যায় কয়েকশ মানুষ নিয়ে হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। সে সময় সেতুতে থাকা অনেকেই ছিটকে নদীতে পড়ে যান।

সোমবার দুপুর পর্যন্ত নদী থেকে ১৪১ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এখনও নিখেঁজ রয়েছেন অনেকে। 

আহমেদাবাদ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯ শতকে, ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময়। স্থানীয়দের কাছে জুল্টো পুল নামে পরিচিত ২৩০ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুতে অনেকেই বেড়াতে যান।

সাত মাস বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ সেরে মাত্র চার দিন আগেই গুজরাতের নববর্ষের দিন খুলে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এনডিটিভি, যেখানে শত শত মানুষকে সেতুর ওপর লাফাতে, দৌড়াতে এবং টানা দড়িতে লাথি দিতে দেখা যায়। এমন বিশৃঙ্খলায় ওই সময়ও দুলছিল সেতুটি। 

রোববার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার সময় সেতুর ওপর পাঁচ শতাধিক মানুষ ছিল বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি খবরে। এনডিটিভি লিখেছে, সে সময় সেতুর উপরে অনেকে ছট পূজা করছিলেন। বহু নারী ও শিশু ছিল তাদের মধ্যে।

যেসব কেবলের ওপর সেতুটি ঝুলছিল, সেগুলো ছিঁড়তে শুরু করলে অন্ধকার নদীতে ভেঙে পড়ে সেতুটি। ঠিক ওই মুহূর্তের একটি ভিডিও সিএনএন-নিউজ ১৮ প্রকাশ করেছে।

সেতু ছিঁড়ে পড়ার সময় অনেকেই ছিটকে নদীতে পড়ে যান। সোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে ভেঙে পড়া সেতু থেকে মানুষকে ঝুলে থাকতেও দেখা যায়।

ঘটনাস্থলে ছুটে যান প্রশাসনের কর্মকর্তারা; শুরু হয় উদ্ধার কাজ।দুর্ঘটনার পরের পরিস্থিতি উঠে এসেছে রয়টার্সের এক ভিডিওতে। 

কেন সেতুটি ধসে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষের প্রধান সন্দ্বীপসিং জালা বলেছেন, সংস্কার শেষে সেতুটি খুলে দেওয়ার আগে ঠিকাদার প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি।

আর গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সঙ্ঘভী বলেছেন, এ ঘটনায় একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে তদন্তের জন্য।