এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা বিভাগে ২৩ লাখ কিশোরীকে এই টিকা দেওয়া হবে।
Published : 15 Oct 2023, 12:34 PM
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরীদের বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি টিকাদান শুরু হয়েছে দেশে।
রোববার ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম ধাপের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েরা এই টিকা কর্মসূচির আওতায় থাকবে। টিকা নিতে হলে প্রথমে টিকা গ্রহণকারীকে ভ্যাক্স ইপিআই অ্যাপে জন্মসনদ দিয়ে নিবনন্ধন করতে হবে।
“নিবন্ধন ছাড়া টিকা গ্রহণের সুযোগ থাকছে না। প্রথম ধাপে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে। এই কর্মসূচির আওতায় ঢাকা বিভাগে ২৩ লাখ কিশোরীকে এই টিকা দেওয়া হবে।”
এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, প্রথম পর্যায়ে মোট ১৮ দিন এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে। পরের ৮ দিন নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ও স্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নিপসমে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর এক ডোজের এই এইচপিভি টিকা প্রয়োগ করা হয়।
রোববার ঢাকা বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ২০ লাখ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে, যা চলবে ১৮ দিন। এ সময় ২০ লাখ টিকা দেওয়া হবে।
আগামী বছরের এপ্রিল মাসে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগ এবং অগাস্ট মাসে দেশের বাকি পাঁচ বিভাগে দেওয়া হবে এইচপিভি টিকা।
সারাদেশের অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।