‘নারীরা যখন দায়িত্ব নেয়, তা ভালোভাবে করার চেষ্টা করে’

‘উইমেন রাইজ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজক এইউএইচসি এ্যাকটিভিটি এবং সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2023, 05:42 PM
Updated : 14 March 2023, 05:42 PM

যে কোনো কাজে নারীদের দায়িত্বশীলতার কথা উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায়।

ইউএসএআইডি‘র অর্থায়নে চলমান স্বাস্থ্য সেবার প্রকল্প এইউএইচসি এ্যাকটিভিটি এবং সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক মঙ্গলবার ঢাকার আমারি হোটেলে যৌথভাবে এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।

সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা পারভীনকে উদ্ধৃত করে অনুষ্ঠানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নারীরা খুব শক্তিশালী। আমরা যখন সুযোগ পাই এবং কোনো দায়িত্ব নিই, সেটি আমরা ভালোভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করি।”

স্বাস্থ্যসেবা খাতে নারীদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি আমাদের সন্তানদেরও যত্ন নিই।”

‘উইমেন রাইজ’ শীর্ষক এই প্যানেল আলোচনায় ইউএসএআইডি‘র এইউএইচসির চিফ অব পার্টি পারভেজ মোহাম্মদ আশেক, সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন অধ্যাপক রুবিনা হামিদ এবং ওরাকল বাংলাদেশের সিইও রুবাবা দৌলা আলোচক ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রিক্তা রায়, রওশন আরা খানম, রেবেকা সুলতানা, আফসানা খাতুন ও সুলতানা বেগমকে ‘চ্যাম্পিয়ন ক্লিনিক ম্যানেজার’ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

আলোচনায় অধ্যাপক রুবিনা হামিদ বলেন, “নারীরা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে সকল ক্ষেত্রেই। আমরা প্রমাণ করেছি যে শুধু স্বাস্থ্যসেবা খাতে নয়, সব ক্ষেত্রেই আমরা আরও বেশি অবদান রাখতে পেরেছি। এটি নারীদের অবদান উদযাপন করার জন্য একটি সুন্দর সুযোগ। এমন একটি দিন আসবে যখন আমরা পুরুষ দিবসও উদযাপন করব।”

রুবাবা দৌলা বলেন, “আমাদের অচেতন পক্ষপাতিত্বের মানসিকতা আমাদের নারী এগিয়ে যাওয়ার প্রধান চ্যালেঞ্জ। আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা, আমাদের নিজস্ব চিন্তাধারার ভিত্তিতে আমরা কেউই বিচার বা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। এটি আমাদের কাজের গতি ও সুযোগকে সীমাবদ্ধ করে দেয়।”

অনুষ্ঠানে সাজেদা ফাউন্ডেশনের সিইও জাহিদা ফিজ্জা কবির বলেন, “আমি যে ঘরনার কাজের সাথে জড়িত, সেখানে আমি কাজ করতে গিয়ে অনেক কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী গ্রামে ঘুরে ঘুরে এবং হাজার হাজার মানুষের জীবন প্রভাবিত করতে দেখেছি। মহিলা তত্ত্বাবধায়ক, কর্মী এবং নার্সরা বেশিরভাগই খুব নম্র। ন্যূনতম শিক্ষার নিয়ে আসা এসব নারীরাই মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনছে।”