ভুল বুঝে আক্কু চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধারা ধরে নিয়েছিলেন
Published: 23 Dec 2016 12:23 AM BdST Updated: 23 Dec 2016 12:24 AM BdST
-
আক্কু চৌধুরী
-
আখতার চৌধুরী। সম্ভ্রান্ত ও বিত্তবান পরিবারে জন্ম। বাবা সফল ইঞ্জিনিয়ার। ঢাকার অভিজাত এলাকায় বেড়ে উঠেছিলেন তিনি, পড়াশোনাও মিলিটারি স্কুলে।
সময়টা ছিল ১৯৭১। এরই মাঝে ঢাকায় শুরু হলো, পাক হানাদারদের ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যাযজ্ঞ। পরিবারের চাপ ছিল দেশের বাইরে চলে যাওয়ার ব্যাপারে। সামনে ছিল সুন্দর ভবিষ্যতের হাতছানি। পুরো পরিবার তৈরি ছিল সুইজারল্যান্ড যাওয়ার জন্য। কিন্তু আখতারের মন তাতে সায় দেয়নি। মা কে খুলে বলেন নিজের ইচ্ছের কথা। যুদ্ধে যাবেন তিনি। দেশ মায়ের ডাককে তো উপেক্ষা করা যায় না। বন্ধু আরিফসহ রওনা দিলেন কুমিল্লার দিকে। উদ্দেশ্য বর্ডার পার হওয়া। চান্দিনার কাছে এক অজানা জায়গায় রাত্রিযাপন করলেন। কিন্তু রাতের অন্ধকারে অস্ত্র হাতে কাদের যেন দেখতে পেলেন সেই রাতে। কেঁপে উঠল বুক। মুহূর্তেই ভুল ভাঙলো। ওরা মুক্তিযোদ্ধাদের দল। বিধির বাম হয়ত একেই বলে। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ভাবতে লাগলেন রাজাকার, গুপ্তচর। তাদের ধরে নিয়ে গেল ওপারের ক্যাম্পে। শুরু হল জিজ্ঞাসাবাদ।

এরপর থেকে স্বপ্ন পূরণের সময় শুরু। যুদ্ধ জয়ের প্রতিজ্ঞা ছিল তাদের চোখে মুখে। ক্যাম্প থেকে দুই বন্ধু পাড়ি জমালেন কলকাতায়। এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ির নিচতলায় বাংলাদেশ ইনফরমেশন ব্যাংকে যোগ দিলেন তারা। তাদের দায়িত্ব ছিল সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ্গুলো সংরক্ষণ করা। তারপর তারা এক সপ্তাহ ট্রেনিং নেন মেজর হুদার কাছে। ১৯৭১ এর নভেম্বর মাসে তারা সেক্টর ৯-এ যুদ্ধে যোগ দেন। সেক্টর ৯ এর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল।
আখতার চৌধুরী তার দলের অন্য সদস্যদের নিয়ে সাতক্ষীরা, খুলনা এলাকায় যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর তাঁরা সাতক্ষীরা মুক্ত করেন। যুদ্ধ ১৮ বছরের বালক আখতারকে পরিবর্তন করে পরিপূর্ণ যুবকে পরিণত করেন। তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন আক্কু চৌধুরী নামে।
আক্কু চৌধুরীর সেই যুদ্ধ আজও থামেনি। বর্তমানে তিনি আরও অনেকের সাথে মিলে গড়ে তুলেছেন একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
-
পাকবাহিনীর সামনে বুক চিতিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন চন্দ্র শেখর রায়
-
আহত হয়েও যুদ্ধে ফিরেছিলেন রিয়াজ উদ্দিন
-
তিনদিন পানির মধ্যে যুদ্ধ করেন নুরূল ইসলাম
-
কিশোরগঞ্জ স্বাধীন হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর
-
যুদ্ধে গুরুতর আহত হয়েছিলেন হাফিজ আলী
-
বাড়ি থেকে পালিয়ে যুদ্ধে অংশ নেন বদরূজ্জামান
-
বঙ্গবন্ধুর আহবানে জনাব আলী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন
-
আক্তার উদ্দীনের সামনেই তার সহযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেন
-
পাকিস্তানি সৈন্যদের পরাজয়ে উৎফুল্ল ছিলেন সুলতান উদ্দীন আহমেদ
-
সহযোদ্ধাদের মৃত্যুতেও অটুট ছিল জামশেদ আলীর মনোবল
-
যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন মোঃ আজিজুল হক
-
পাকবাহিনীকে বহুবার পদর্যুস্ত করেছিলেন ক্যাপ্টেন শচীন কর্মকার
সর্বাধিক পঠিত
- সাঁতরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বললেন তরুণী?
- প্রথম টোল দিয়ে বাইক নিয়ে পদ্মা সেতু পার হলেন যিনি
- পুলিশের সামনে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা: চলছে প্রতিবাদ
- পদ্মা সেতু দিয়ে গাবতলীর বাস কবে চলবে?
- প্রাথমিকে ছুটি ২৮ জুন থেকে, মাধ্যমিকে ৩ জুলাই
- দৌড়েই পদ্মা সেতুতে উঠে পড়লেন তারা
- পাকিস্তানের শেহজাদের অদ্ভুত দাবি
- পদ্মা সেতু খুলেছে, ‘হাত নেড়ে কুল পাচ্ছে না’ ঢাকার ট্রাফিক পুলিশ
- ‘প্রধানমন্ত্রীর পর আমিই প্রথম, অনুভূতিটা অন্যরকম’
- রোববার থেকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল