পাকবাহিনীর সামনে বুক চিতিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন চন্দ্র শেখর রায়

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2017, 06:35 PM
Updated : 8 Jan 2017, 06:35 PM

চন্দ্র শেখর রায়কে তার বাবা যুদ্ধে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। যুদ্ধের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের জন্য তিনি ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে ওম্পিনগরে তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছিল। ১৯৭১ সালে ৩ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

প্রশিক্ষণ শেষে চন্দ্র শেখর রায় দেশে ফিরে আসেন। হাভানি ক্যাম্প থেকে তারা অপারেশনে অংশ নিতে শুরু করেছিলেন। পরে মঠখোলাতেও বিভিন্ন ছোট খাট যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন গ্রুপ একত্রিত হয়ে বড় অপারেশনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক হোসেনপুরে তারা যুদ্ধ করেছিলেন। হোসেনপুরের যুদ্ধের পর অংশ নেন পাকুন্দিয়া অপারেশনে।

রামপুর যুদ্ধের কথা বারবার মনে পড়ে চন্দ্র শেখর রায়ের। নদীর এক পাড়ে ছিলেন তিনি একা অন্য পাড়ে বাকি মুক্তিযোদ্ধারা। তার মনে কোন মৃত্যু ভয় ছিল না। বরং নিজের জীবনের বিনিময়ে পাকবাহিনীকে পরাজিত করার প্রত্যয় ছিল তার চোখে মুখে। সেদিন পাকবাহিনীকে ধোঁকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা, যেন তাদের মনোযোগ শুধু চন্দ্র শেখরের দিকেই থাকে। পাকবাহিনী তাদের ফাঁদে পা দিয়েছিল। তারা চন্দ্র শেখরের এ্যামবুশের মুখে লঞ্চ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়েছিল। তখন বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের এলএমজি সমানতালে গর্জে উঠেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত ব্রাশফায়ারে তখন পুরো হতভম্ব হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। এই যুদ্ধে ২০০-২৫০ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়।

নতুন প্রজন্মকে দেশের স্বাধীনতা ধরে রাখার আহবান জানান চন্দ্র শেখর রায়। তিনি মনে করিয়ে দেন যে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।