ওই নিউজ পোর্টাল যারা চালান, তারা ওয়েবসাইটে নিজেদের সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি। কিন্তু তাদের ফেইসবুক পাতায় যে ঠিকানা লেখা ছিল, সেটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঠিকানা। ঢাকার মহাখালীর যে হোল্ডিংয়ে যে ফ্লোরের কথা সেখানে লেখা ছিল, সেখানে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ছাড়া আর কোনো অফিস নেই।
ফেইসবুকে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হলে এক ব্যক্তি ফোন ধরে নিজের নাম বলেন প্রশান্ত কুমার দাস। নিজেকে কথিত ওই নিউজ পোর্টালের সম্পাদক দাবি করেন তিনি।
পরে এই প্রতারণার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তাদের ফেইসবুক পেইজে ঠিকানাও বদলে ফেলা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঠিকানা কেন ব্যবহার করেছেন প্রশ্ন করলে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, মহাখালীর ওই এলাকায় সুমন রায় নামে তার একজন ভাই থাকেন, তিনিই এ ঠিকানা ব্যবহার করেছেন।
অফিস কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বরিশালের কাঠালিয়া থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অনলাইন সংবাদপত্র হিসাবে নিবন্ধনের জন্য আবেদনও করেছেন। তবে এখনো নিবন্ধন পাননি।
বরিশাল জেলায় কাঠালিয়া নামে কোন উপজেলা নেই। তবে বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায় কাঠালিয়া নামে একটি উপজেলা রয়েছেন।
নিবন্ধনের যে আবেদনের কথা ওই ব্যক্তি বলেছেন, তার সত্যতা বা সেখানেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে কি-না, তা যাচাই করা যায়নি।
টেলিফোন আলাপে প্রশান্ত নামে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি একেকবার একেক কথা বলেছেন। কখনো তিনি বলেছেন, তিনি নিজে ওই ফেইসবুক পেইজ তৈরি করেননি, অন্য একজন করে দিয়েছেন। আবার বলেছেন, আগে সেখানে কাঠালিয়ার ঠিকানাই ছিল, পরে ঠিকানা বদল করা হয়েছিল।
এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এখন চেক করে দেখেন, ঠিকানাটা আর নাই। এর পরেতো কথা থাকতে পারে না। ভুল হলে সেখানে ক্ষমার দৃষ্টিতে তাকানো উচিত।”