সোমবার নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক এ সংগঠনের এক বিবৃতিতে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে’ সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার বন্ধ করারও দাবি জানানো হয়েছে।
সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডিবিধির কয়েকটি ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন উপসচিব।
সিপিজের এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক আলিয়া ইফতিখার বলেন “আমরা গভীরভাবে নাড়া খেয়েছি যে, বাংলাদেশের কর্মকর্তারা একজন সাংবাদিককে আটক করে ঔপনিবেশ যুগের নির্মম একটি আইনে অভিযোগ এনেছে, যেখানে হাস্যকরভাবে অত্যন্ত কঠোর শাস্তির বিধান আছে।
“বাংলাদেশের পুলিশ এবং কর্তৃপক্ষের উচিত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের কাজকে ‘জনগণের সেবা’ হিসেবে গণ্য করা এবং শিগগিরই তার বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিয়ে মুক্তি দেওয়া।”
সিপিজের বিবৃতিতে বলা হয়, টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে শাহবাগ থানার ওসি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ইমেইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাইদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।