এতে বলা হয়েছে, “করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যখন ঘরে তখন দিনরাত কাজ করছেন বাংলাদেশের সম্প্রচার সাংবাদিক ও কর্মীরা। তাদের নিরলস পেশাদারিত্বের কারণেই দেশের মানুষ প্রতি মুহূর্তে নিজেদের নিরাপদ রাখার তথ্য পাচ্ছেন।
“কিন্তু এখনও বেশ কিছু সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানে কর্মী সুরক্ষা ব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে। মাঠে যারা খবর সংগ্রহ করছেন তাদের নিরাপত্তার সরঞ্জাম খুবই অপ্রতুল। ফলে জীবন ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন তারা। ’
এমতাবস্থায় সরকার ‘করোনাভাইরাসে সংক্রমিত’ এলাকায় যেসকল সংবাদকর্মী কাজ করছেন, তাদের পূর্ণ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং কেউ অসুস্থ হলে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া ও তার পরিবারের জন্য যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে বিজেসি।
বিজেসির বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি মাসে কয়েকটি টিভি স্টেশন নির্ধারিত সময়ের আগেই বেতন দিয়ে ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও রূঢ় বাস্তবতা হলো অধিকাংশ টেলিভিশনে বেতন-ভাতা ‘অনিয়মিত’।
“এই দুর্যোগের মধ্যে সম্প্রতি একটি টিভিতে একযোগে ৩০ জনের মত কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। আরো কিছু টেলিভিশনের কর্মীরাও আছেন ছাঁটাই আতঙ্কে, যা এই সময়ে সম্প্রচার সাংবাদিকদের দুর্ভাবনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।”
এ বাস্তবতায় সংক্রমণ এলাকায় কর্মরতদের জন্য ঝুঁকিভাতা চালু করা, ছাঁটাই বন্ধ করা, নিয়মিত বেতন দেওয়া ও বকেয়া পরিশোধ করারও দাবি জানিয়েছে বিজেসি।