ধমনীতে ‘প্লাক’ জমার ফলে রক্ত প্রবাহ বাধা পায়। যেখান থেকে দেখা দেয় হৃদসংক্রান্ত নানান জটিলতা।
দেহের ভেতরে ঘটতে থাকা এই মরণঘাতি পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন কি-না তা বোঝার জন্য কিছু উপসর্গ রয়েছে।
প্লাক হওয়ার কারণ
নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘স্টেটেন আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটি হসপিটাল’য়ের `নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজিস্ট’ এরিক স্টাল ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করেন, “অ্যাথেরোসক্লেরোসিস’ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা ধমনীর দেয়ালে চর্বি জমা বা প্লাক তৈরি করতে ভূমিকা রাখে। প্লাক তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধমনীগুলো শক্ত এবং সরু হয়ে যায়। ফলে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ করার ক্ষমতা সীমিত করে।”
‘অ্যাথেরোসক্লেরোসিস’ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া যা জীবনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দশকে শুরু হয়। আর এটা উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান এবং ডায়াবেটিসের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়৷
এই ঝুঁকির কারণগুলোকে সীমিত করাই এই রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারে
ডা. স্টাল বলেন, “একবার ‘অ্যাথেরোসক্লেরোসিস’ তৈরি হলে জীবনধারা পরিবর্তন করে এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছাড়তে হবে। হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মেডিটেরিয়ান খাদ্যাভ্যাস, ওজন কমানো এবং শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করা উচিত। এগুলোর ঘাটতি কোলেস্টেরল, রক্তচাপ কমানো ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ গ্রহণ করার প্রয়োজন হতে পারে।”
না হলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (পিএডি)’ হতেই পারে।
পরীক্ষা করার উপায়
ডা. স্টাল বলেন, “করোনারি অ্যার্টারি ক্যালসিফিকেইশন (সিএসি)’, ‘নন-কন্ট্রাস সিটি স্ক্যান’য়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করা যায়। সিএসি বর্তমান ও ভবিষ্যতের ‘অ্যাথেরোসক্লেরোসিস কার্ডিওভাস্কুলার’ রোগের পূর্বাভাস দিতে পারে।”
কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি
“কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি বিশেষ করে কম ঘনত্বের লিপোপ্রটিন, ট্রাইগ্লিসারাইড বা লিপোপ্রোটিন ‘অ্যাথেরোসক্লেরোসিস’ বিকাশে সরাসরি ভূমিকা রাখে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমাট বাঁধা চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই তা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত”, বলেন ডা. স্টাল।
ধূমপান
ধূমপানের সাথে গ্রহণ করা অনেক বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান প্লাক তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
মেটাবলিক সিন্ড্রোম
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত কোমরের মাপ বা স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে ‘অ্যাথেরোসক্লেরোসিস’ দ্রুত বিকাশ লাভ করে।
বুক ব্যথা
‘অ্যাথেরোসক্লেরোসিস’ হওয়ার ফলে ধমনী সরু হয়ে যায়। ফলে বুক ব্যথা, নিঃশ্বাসে সমস্যা, দুর্বলভাব ইত্যাদি হৃদসংক্রান্ত ধমনী সরু হয়ে আসার লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়।
আরও পড়ুন