ত্বকের যত্নে বিভিন্ন তেল

শুধু চুলের যত্নেই নয়, ত্বক পরিচর্যাতেও তেল ব্যবহার উপকারী।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2023, 08:35 AM
Updated : 3 Feb 2023, 08:35 AM

তেল দিয়ে ত্বক পরিচর্যায় কিছু নিয়ম জানা থাকা দরকার।

ক্ষতি ছাড়া ত্বকের সুস্থতা রক্ষায় প্রাকৃতিক তেল উপকারী।

ভারতের ব্লসম কোচার গ্রুপ অফ কম্পানিজ’য়ের পরিচালক ব্লসম কোচ্চার ত্বকের ধরন ও সমস্যা বুঝে তেল ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, “যতটা সম্ভব রাসায়নিক উপাদান মুক্ত ক্রিম বা লোশন ব্যবহারে বিরত থেকে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা উপকারী।“

তেলতেলে হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই তৈলাক্ত ত্বকে তেল ব্যবহার করতে চান না। তবে ব্লসম কোচার টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ত্বক আর্দ্র রাখার পাশপাশি উজ্জলতা বাড়াতে কয়েকটি তেল ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

নারিকেল তেল

ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা থেকে শুরু করে আরোগ্য লাভ পর্যন্ত নানান ধরনের সমস্যায় সমাধানে সহায়তা করে।

এমন ঠাণ্ডার মৌসুমে এক চামচ নারিকেল তেল কুসুম গরম করে চুল ও ত্বকে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

গোসলের পরে, বিশেষত গরম পানিতে গোসলের ফলে ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে নারিকেল তেল ব্যবহার করা উপকারী।

ল্যাভেন্ডার তেল

ত্বকে ব্রণ বা জ্বলুনির সমস্যা থাকলে তাজা ফুলের তেল যেমন- ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার উপকারী।

এটা সিবাম নিয়ন্ত্রণে রাখে, জ্বলুনি কমায় এবং প্রাকৃতিক জীবাণূনাশক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া অন্যান্য প্রসাধনীর কার্যকারিতা বাড়াতে পারে।

টি ট্রি তেল

ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাসরোধী। তাছাড়া ত্বকের শুষ্কতা, চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে এই তেল উপকারী।

১২ ফোঁটা নারিকেল, জলপাই বা কাঠবাদামের মতো বাহক তেলের সাথে দুয়েক ফোঁটা টি ট্রি তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।

খাঁটি জলাপাইয়ের তেল

বিশেষত ‘এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল’ পুষ্টিকর এবং মুখের আর্দ্রতা ও মসৃণতা বজায় রাখতে উপকারী।

জলপাই তেলে আছে ভিটামিন ও খনিজ যা ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ত্বকের শুষ্কতাজনিত সমস্যা– চামড়া ওঠা, ফাঁটা ইত্যাদি দূর করতে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করা যায়।

খুব বেশি শুষ্কতার কারণে হওয়া ত্বকের চুলকানি বা অস্বস্তি কমাতে এই তেলের সঙ্গে কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।

কাঠবাদামের তেল

খুব বেশি শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী। জ্বলুনি, ব্যথা ও খসখসেভাব কমাতে পারে।

এই তেলে আছে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখে। শুষ্ক ত্বকের জন্য তৈরি ফেইস প্যাকে কাঠবাদামের তেল ব্যবহার করা যায়।

ডিমের কুসুমের সঙ্গে কাঠবাদামের তেল মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করা যায়। হাঁটু, কনুইয়ের শুষ্কতা, কড়া পড়া ত্বক এমনকি চুলের রুক্ষতা কমাতেও কাঠবাদামের তেল সুপরিচিত।

জোজোবা তেল

আছে এমন রাসায়নিক অবকাঠামো যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের অনুরূপ। ফলে তা শোষিত হয় সহজে।

বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান, জিঙ্ক, কপার, ভিটামিন বি এবং ই থাকায় ত্বকের যত্নে জোজোবা তেল ব্যবহার উপকারী।

আরও পড়ুন:

Also Read: নারিকেল তেল নাকি বিষ!

Also Read: রান্নার জন্য স্বাস্থ্যকর পাঁচটি তেল

Also Read: তৈলাক্ত ত্বকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল