গরম বৃষ্টির মৌসুম। আবার দিন বড়। এই সময়ে সেহরি থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টারর মতো না খেয়ে থাকতে হয়। আর সারাদিন শেষে দেখা যায় ইফতারের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাজাপোড়া খেয়ে ফেলা হয়।
বেশি ভাজাপোড়া খাওয়া এমনিতেই স্বাস্থ্যকর নয়। তারপর উপর পেট থাকে খালি। এই অবস্থায় ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার বেশি না খেয়ে সঙ্গে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারও বেছে নেওয়া জরুরি।
ইফতারে কেমন খাবার বেছে নেওয়া উচিত, কখন কোনটা খাওয়া উচিত— এই নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. আজমিরী বিনতে আসলাম অনন্যা দিয়েছেন বেশ কিছু উপকারি তথ্য।
১। খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করুন। এটা শক্তিতে ভরপুর। অথবা তাজা ফলের রস দিয়ে শুরু করতে পারেন।
২। এরপর একটা 'স্টার্টার' খেতে পারেন যা পাকস্থলী আরও খাবার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করবে। যেমন: ভেজিটেবল সুপ, চিকেন কর্ন সুপ ইত্যাদি।
৩। এরপর মাগরিবের নামাজ পড়ে নিন। এটা খুব জরুরি। কারণ আপনার শরীরকে কিছু সময় দেবে প্রস্তুত হওয়ার জন্যে।
৪। ইফতারের মূল খাদ্যতালিকায় শর্করা, আমিষ, অল্প স্নেহ (চর্বি), ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার থাকতে হবে।
৫।পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। লক্ষ্য হবে সেহেরি পর্যন্ত আট থেকে ১০ গ্লাস পানি খাওয়া। তবে ধাপে ধাপে।
যেসব বিষয় বাদ দিতে হবে:
- ডুবোতেলে ভাজা খাবার। (সমুচা, শিঙারা, ইত্যাদি)
- অতিরিক্তচর্বিযুক্ত খাবার।
- কিছু মিষ্টান্ন যেমন: চকলেট, মিঠাই, গোলাপজাম, পেস্ট্রি।
- চা বা কফি।
- কৃত্রিম প্রক্রিয়াজাত ফলের রস।
ইফতারে যেসব খাবার খাওয়া ভালো
- প্রোটিন (ছোলা এবং ডালজাতীয় খাবার, মটরশুঁটি, শিমের দানা)
- বাসায় বানানো দুগ্ধজাত খাবার যেমন ফিরনি, পায়েস বা পুডিং।
- বেইক করা মাছ বা মুরগি।
- সবজি, শসা বা টমেটো।
- প্রচুর তাজা ফল।
আশা করা যায় এভাবে নিয়মমাফিক চলার চেষ্টা করলে রোজা রেখেও সুস্থ থাকা যাবে। মনে রাখতে হবে নিজের কাছেই রয়েছে নিজের সুস্থতার চাবিকাঠি।