কেশ রাঙাতে হাইলাইটস

পুরো বা, দু'তিন ভাগে চুল বিভিন্ন রংয়ে হাইলাইটস করার আগে বেশ কিছু জিনিস খেয়াল রাখা জরুরি।

ইরা ডি. কস্তাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2014, 09:55 AM
Updated : 26 July 2014, 09:55 AM

এই সময়ে ফ্যাশনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে হেয়ার কালার। আর স্টাইলের ক্ষেত্রে পুরো চুল রং করা বা ভাগে ভাগে দু’ তিন ধরনের রং দিয়ে চুলে হাইলাইটস করার চলনটি নতুন কিছু নয়।

তবে হাইলাইটস করার আগেও বেশ কিছু জিনিস খেয়াল রাখা জরুরি।

হেয়ারোবিক্স ব্রাইডালের কর্ণধার তানজিমা শারমিন মিউনি চুলে হাইলাইটস করার আগে কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন।

- গোলাপি আভার ত্বকের ক্ষেত্রে রেডিশ শেইডগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। আর হলদেটে মুখের সঙ্গে বেমানান অরেঞ্জ শেইডগুলো। অলিভ রংয়ের ত্বকে মানাবে গাঢ় রংয়ের শেইডগুলো এবং লো-লাইটস কালার।

- যাদের চুল কালো এবং ‘ডার্ক ব্রুনেট’ তাদের চুলে হাইলাইটস করার ক্ষেত্রে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। কারণ সরাসরি কালো চুলে হাইলাইটস বোঝা যায় না।

- হেয়ার ডাইংয়ে অ্যালার্জি থাকলে ব্র্যান্ড পরিবর্তন করে দেখা যেতে পারে।

- চুলে নিয়মিত রং করা ঠিক নয়। কারণ ব্লন্ড, রেড, ব্রাউন, পিংক, নিওন, সল্ট অ্যান্ড পেপার, গ্রে— ইত্যাদি যে কোনো রংই যদি ঘন ঘন করা হয় তবে চুলের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।

হাইলাইটসের ক্ষেত্রে রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভুল করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। আর তাই আমাদের দেশীয় ত্বকের জন্য মানানসই কিছু শেইডের নাম উল্লেখ করেন মিউনি।

মিউনি বলেন, “সাধারণত আমাদের দেশীয় ত্বকের সঙ্গে কপার, চিনামন, জিঞ্জার, ব্রুনেট, গোল্ডেন ব্লন্ড, কপার ক্যারামেল, মিডিয়াম অ্যাশ, বারগেন্ডি ইত্যাদি শেইডের কম্বিনেশন ভালো মানানসই। তবে আইবল এবং ত্বকের রংয়ের সঙ্গে চুলের হাইলাইটসের একটি ব্যালেন্স থাকা বেশি জরুরি। রং বাছাইয়ের সময় মাথায় রাখতে হবে, চুলের রংয়ের কারণে গায়ের রং যেন মলিন না দেখায়।”

সতর্কতা যত্ন

গরমে ঘেমে এবং রোদের কারণে কালারড চুল খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া রং-ও হালকা হয়ে যায়। আর তাই আল্ট্রাভায়োলেট ফিল্টার সমৃদ্ধ হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন।

তাছাড়া চুলে যেনো সরাসরি রোদ না লাগে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যারা সাঁতার কাটেন তাদের অবশ্যই সাঁতার কাটার পর চুল ধুয়ে নিতে হবে। কালার করা চুলের জন্য বিশেষ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এরপর কালারড হেয়ারের জন্য বিশেষ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

তবে কখনোই জোরে চুল ঘষা উচিত নয়। এতে চুলের কিউটিকল নষ্ট হয়ে যাবে এবং রং হালকা হয়ে যেতে পারে।

মাসে অন্তত একদিন কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করা উচিত।