শিশুদের জন্য ছোট বাসা সাজানোর উপায়

বাসায় জায়গা কম! তাতে কী? বরং ছোট পরিসরেও শিশুদের জন্য সুন্দর পরিবেশ দেওয়া যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2022, 08:57 AM
Updated : 3 July 2022, 08:57 AM

ছোট বাসা সাজানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন পড়ে। জায়গা অপচয় না করেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঠিকঠাক ভাবে সাজানোর উপায় খুঁজতে হয়। আর বাসায় যদি শিশু থাকে তাহলে এই বিষয়ে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

গাঢ় রংয়ের সোফা

ছোট অ্যাপার্টমেন্টে প্রতিটা ঘর ও আসবাব প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হতে থাকে। বাসায় শিশু থাকলে তারা একই সোফাতে বসে খাওয়া, টেলিভিশন দেখা এমনকি খেলাধুলাও করে। ফলে সহজেই খাবার বা ময়লার দাগ সোফায় বসে যেতে পারে। তাই সোফায় গাঢ় রংয়ের কাভার ব্যবহার করা প্রয়োজন।

রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই পরামর্শ দেন, নিউ ইয়র্কের এলিজাবেথ পাসারেলা।

তার কথায়, “আমি ও আমার স্বামী যে সোফায় বসে রাতের খাবার খাই, সেটাতেই আমার সন্তান আইসক্রিম খায় মজা করে। তবে আমার সোফার কভার কালচে। তাই সেখানে সহজে দাগ ফুটে ওঠ না। হালকা রংয়ের কাভার ব্যবহার করতে চাইলে ঘর ও বাইরের জন্য আলাদা তন্তু ব্যবহার করা ভালো।”  

গ্লিটারের দাগ

শিশুর স্কুলের অ্যাসাইনমেন্ট বা শখের জিনিস তৈরিতে গ্লিটার ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। গ্লিটার দিয়ে কাজ করা মানে সারা ঘর এমনকি খাবারের টেবিল পর্যন্ত তার দখলে চলে যাওয়া। তাই ঘরে গ্লিটারের কাজ করা হলে অকারণে তা ছড়াতে বা দিয়ে বরং আলাদাভাবে প্যাকেট করে সরিয়ে ফেলা উচিত।

পাসারেলা বলেন, “না হলে, সারা ঘর গ্লিটার দিয়ে ভরে যেতে পারে।”

শিশুদের জন্য বড় শোয়ার ঘর

ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে শিশুদের থাকার জন্য বিশেষ করে শোবার ঘর নিয়ে বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়।

অনেকেই মনে করেন বড় ঘরটা গৃহ কর্তা ও কর্তীর জন্য বরাদ্দ। তবে এক্ষেত্রে ঠিক নয়।

এলিজাবেথ বলেন, “ছোট ঘরে শিশুরা থাকলে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বা খেলনা ড্রয়িংরুমসহ অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে পারে তাই শিশুদের জন্য বড় ঘর ছেড়ে দিলে তাদের জিনিসপত্র ওই এক ঘরেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এর মানে হল বাকি ঘার গোছানো থাকবে ও পরিষ্কার করা সহজ হবে।”

সব কিছুর সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ

ঘরের সব কিছু রাখার স্থান সুনির্দিষ্টিত থাকলে ঘর গোছানো সহজ হয়। তাছাড়া ঘরের কোথায় কোন জিনিস রাখা হয় তা সকলের জানা থাকলে এবং সবাই সঠিক স্থানে জিনিস রাখলে ঘর অগোছালো কম হবে।

আবেগ প্রবণ হওয়া যাবে না

সন্তানের প্রথম খেলনা, পোশাক, শিল্প কর্ম ইত্যাদি যত্ন করে রেখে দেন অনেকেই। তাই বলে অপ্রয়োজনীয় খেলনা বা সামগ্রী যত্ন করে বছরের পর বছর তুলে রাখা ঘরের জায়গা নষ্ট করা ছাড়া কিছু নয়।

এলিজাবেথ পরামর্শ দেন, “তাই আবেগকে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং বাস্তবতা মাথায় রেখে শিশুর অব্যবহৃত খেলনা, ছোট হয়ে যাওয়া পোশাক ইত্যাদি অন্যদের দান করে দেওয়া উচিত।”

জায়গার স্বল্পতা বোঝা

বাসা ছোট, মানে জায়গা কম। এই বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত। একই ধরনের জিনিস একাধিক কিনে অযথা জায়গা নষ্ট করা ঠিক নয়। তাই প্রয়োজনীয় ও পরিমিত জিনিস বিবেচনা সাপেক্ষে কেনা উচিত।

সারা ঘর আসবাব দিয়ে পূর্ণ না করা

বর্তমানে ছোট বাসা সাজানোর জন্য বাজারে নানান রকম বহুমুখী আসবাব পাওয়া যায়। এতে করে অল্প জায়গায় বেশি জিনিস রাখা যাবে আবার ঘরও দেখতে হালকা লাগবে।

সারা ঘর আসবাব দিয়ে না ভরে বরং শিশুদের চলাফেরা ও খেলাধুলার জন্য আলাদা জায়গা উচিত।

বাইরে সময় কাটানো

ছোট ঘরে সময় কাটানো অনেকসময় ক্লান্তিকর ও দমবদ্ধের মতো অনুভূত হতে পারে। তাই শিশুকে মাঝে মধ্যে প্রতিবেশির বাসায়, বাইরে হাঁটতে, বাগানে বা পার্কে বেরাতে নিয়ে যাওয়া উচিত।

এর ফলে ছোট জায়গায় থেকে মেজাজের খিটমিটেভাব কমবে, মন ভালো থাকবে এবং শিশুরাও বাইরে মানুষের সঙ্গে কথা বলা তথা সামাজিকতা শিখবে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন