মহামারীর সময়ে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার পন্থা

সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে পশু ক্রয়-বিক্রয় থেকে শুরু করে বিতরণ এবং বর্জ্য নিষ্কাশন পর্যন্ত।

শাহীনুর রহমান হিমেলবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2021, 06:26 AM
Updated : 19 July 2021, 06:26 AM

সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব মানা বা স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে প্রচণ্ড অনীহা। তাই নিজ উদ্যোগেই নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে।

এই অবস্থায় হাটে কী পদক্ষেপে নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. কামরুল হাসান (বিসিএস স্বাস্থ্য)।

* শিশু এবং বৃদ্ধদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই পশুর হাটে তাদের নিয়ে যাওয়া যাবে না। এছাড়া কারও মধ্যে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ থাকলে তাকে কোনোভাবেই হাটে নেওয়া যাবে না।

* যাওয়ার সময় ফুল হাতা কাপড় এবং জুতা পরিধান করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে ‘স্যানিটাইজার’ সঙ্গে রাখতে হবে এবং ঘনঘন হাত ‘স্যানিটাইজ’ করতে হবে। সম্ভব হলে ‘গ্লাভস’ ব্যবহার করতে পারেন।

* হাট থেকে ফিরে এসে গায়ের পোশাক ভালোমতো সাবান-পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে। আর বাসায় ফিরেই গোসল করে নিতে হবে।

* হাটে যাওয়ার সময় যথাসম্ভব কম সংখ্যক পরিবারের সদস্য নিয়ে যেতে হবে। দুএকজনের বেশি না যাওয়াই ভালো। যাওয়ার সময় প্রশাসন এবং ইজারাদারদের দ্বারা ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রবেশ করতে হবে।

* জীবাণুনাশক টানেল থাকলে তার মধ্য দিয়ে যাওয়া এবং থার্মোমিটারে চেক করে নিতে হবে নিজের শরীরের তাপমাত্রা। প্রবেশ পথে সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে দুই হাত জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা থাকলে তা করে নিতে হবে।

* মুখে মাস্ক রাখা ব্যক্তিগত সতর্কতার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। নাক-মুখ ঢেকে রেখে সঠিক নিয়মে মাস্ক পরতে হবে। দুটি মাস্ক একসঙ্গে পরতে পারলে সবচাইতে ভালো। গরমে ঘেমে গেলেও কোন অবস্থাতেই মাস্ক খুলে রাখা যাবে না। কোনো কারণে মাস্ক খুলতে হলে হাত জীবাণু মুক্ত করে নিয়ে মাস্কে হাত দিতে হবে।

* শারীরিক দূরত্ব মেনে চলাটাও ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করার অন্যতম হাতিয়ার। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বদ্ধ জায়গায় তা প্রায় অসম্ভব। তাই যথাসম্ভব ভীড় না বাড়িয়ে এবং এড়িয়ে চলে পশু ক্রয় বিক্রয় করতে হবে।

* পশুর হাটেই শুধু নয়; মাংস কাটা, বিতরণে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এবং বর্জ্য নিষ্কাশনেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

* হাটে দূর দূরান্ত থেকে অজানা সব মানুষ আসে ক্রেতা-বিক্রেতা হিসেবে। কে আক্রান্ত সেটা বাইরে থেকে বোঝার উপায় থাকে না। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে ব্যক্তিগত করণীয়গুলো মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।

নিজে এবং পরিবারকে রক্ষা করার মধ্য দিয়ে পক্ষান্তরে দেশ ও জাতির প্রতি এক মহান দায়িত্বও পালিত হয়ে যাবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ধর্মীয় ত্যাগের মহান ইবাদতও পালিত হবে।

মনে রাখতে হবে যে উৎসব পালন করতে যেয়ে কেউ আক্রান্ত হয়ে গেলে তা মূহূর্তেই বিষাদে পরিণত হতে পারে।

আরও পড়ুন