সুস্বাস্থ্যের জন্য অভ্যাসের পরিবর্তন

ঘুম, খাদ্যাভ্যাস, সচেতনতা সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2020, 12:35 PM
Updated : 18 Jan 2020, 12:35 PM

যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ছোটখাট বিষয়গুলো বেশিরভাগ মানুষই অবহেলা করেন, মনযোগটা দেওয়া হয় বড় বিষয়গুলোর উপর। স্বাস্থ্য সচেতনতায়ও এর ব্যাতিক্রম হয় না। ক্ষুদ্র যে বিষয়গুলো ক্রমেই স্বাস্থ্যহানি করছে সেদিকে নজর থাকে না, বড় কোনো জটিলতা দেখা দিলেই তবে মানুষ সতর্ক হয়। এই ছোট বিষয়গুলো কিন্তু পরবর্তীতে বড় সমস্যা ডেকে আনে, যা আগেভাগে সতর্ক হলে সৃষ্টিই হতো না।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো এমন কয়েকটি সাধারণ বদভ্যাস সম্পর্কে যা অবহেলায় ডেকে আনে বড় সমস্যা।

রাতজাগা: যারা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন তাদের বেশিরভাগই যারা সময়মতো ঘুমান তাদের তুলনায় বেশি মানসিক অস্বস্তিতে ভোগেন। মাঝরাত পর্যন্ত জেগে থাকা মানুষগুলোর নেতিবাচক চিন্তা ও মানসিক চাপে ভোগার আশঙ্কা বেশি, যা পক্ষান্তরে ঘুমকে ক্রমেই আরও দুর্লভ করে তোলে। এই মানসিক চাপ আর ঘুমের অভাব একত্রিত হয়ে ডেকে আনতে পারে বিভিন্ন গুরুতর শারীরিক সমস্যা।

লম্বা যাত্রা: কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিন মানুষকে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। এই যাত্রাপথ কারও লম্বা কারও আবার সামান্য। তবে যানজটের কারণে সামান্য দুরত্ব পাড়ি দিতেও পার হয়ে যায় অনেকটা সময়। নিয়মিত লম্বা যাত্রা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তিলে তিলে। ঘর থেকে কর্মক্ষেত্র যত দূরে, তার অবসাদগ্রস্ততা, মানসিক অস্বস্তি, ক্লান্তি ইত্যাদিসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগার আশঙ্কা ততই বেশি। ঘর পরিবর্তন করা ছাড়া এক্ষেত্রে বেশি কিছু করার নেই বললেই চলে, তবে বিষয়টি নিয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি।

খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা: প্রতিদিন শরীরের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকর যে কাজটি প্রত্যেকটি মানুষই কমবেশি করেন তা হলো প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া। অস্বাস্থ্যকর এই খাবার মুখোরোচক হলেও বাড়ায় ওজন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্তে শর্করার মাত্রায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং ডেকে আনতে পারে হৃদরোগের মতো মারাত্বক রোগ। তাই প্রকৃয়াজাত খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করাই ভালো।

অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা: স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা পাওয়া লক্ষ্যে যারা কঠোরভাবে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করছেন, অতিরিক্ত ব্যায়াম করছেন, তারা পক্ষান্তরে স্বাস্থ্যের উপকার নয়, অপকার করছেন। শরীরচর্চা আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের সতর্কতা একসময় শরীরের সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। যার কারণে দেখা দেয় মানসিক অস্বস্তি, অবসাদ এবং নষ্ট হয় শরীরের স্বাভাবিক কার্যবলীর ছন্দ। যে ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বাঁচতে এতোকিছু করছেন, সেই কাজগুলোই আপনার স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। তাই কোনো বিষয়েই বাড়াবাড়ি ভালো নয়।