ভুলে যাওয়ার বিড়ম্বনা এড়াতে নোট লিখে রাখা বা মোবাইলে রিমাইন্ডার দেওয়ার পরও কাজ না হলে অঙ্কন প্রক্রিয়া হতে পারে সমাধান।
Published : 05 Jan 2019, 11:30 AM
কারণ কানাডার ‘ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটারলু’তে ‘কগনিটিভ নিউরোসায়েন্স’য়ের উপর করতে যাওয়া পিএইচডি’র শিক্ষার্থী মেলিসা মিড তাদের গবেষণায় দেখতে পান আঁকার ফলে মনে থাকে বেশি।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “লেখার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের যতগুলো অংশ জেগে ওঠে তার থেকে বেশি অংশ জাগ্রত হয় কোনো কিছু আঁকার সময়। আমরা মনে করি চিত্রাঙ্কনের বহুমুখীতার কারণে তা স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের জন্য বেশি কার্যকর।”
বৃদ্ধ ব্যক্তিদের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে এই পদ্ধতি বিশেষ উপকারী হিসেবে উল্লেথ করে মেলিসা মিড বলেন, “প্রবীণদের স্মৃতিশক্তির উন্নয়নে এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত সকল পদ্ধতির চাইতে চিত্রাঙ্কন পদ্ধতি সবচাইতে বেশি উপকারী।”
কয়েকটি ধাপে করা একাধিক পরীক্ষাভিত্তিক এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন বয়সের মোট ৪৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। যুবক, বৃদ্ধ সকলকে মনে রাখার বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে কোনো কিছু মনে রাখার চেষ্টা করান গবেষকরা।
অংশগ্রহণকারীরা সকলেই বেছে নেয় লেখা কিংবা এঁকে রাখার পদ্ধতি। পরিশেষে দেখা যায়, যে শব্দগুলো তারা লিখেছিলেন সেগুলোর তুলনায় যেগুলো তারা এঁকেছেন সেগুলো বেশি মনে রাখতে পেরেছেন।
গবেষকরা বলেন, “আপনি কতোটা ভালো বা কতোটা খারাপ আঁকেন তার উপর কোনো কিছু নির্ভর করেনা। যাই আঁকেন না কেনো তা আপনার স্মৃতিতে গেঁথে থাকবে গভীরভাবে।
‘ডিমেনশিয়া’ ভোগা রোগীদের কীভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সাহায্য করা যায় সে বিষয়ে কাজ করছেন এই গবেষণার গবেষকরা।
আরও পড়ুন