পা পর্যন্ত লম্বা কামিজ, সাধারণ মাপের কামিজে কাটিংয়ে ভিন্নতা, শর্ট ও লং টপ্স, গাউন টাইপ টপ, সামনে ছোট পেছনে বড় এমন নানান পোশাকের বেশ প্রচলন ছিল ২০১৮ সালে।
সালোয়ারেও দেখা গেছে ভিন্নতা- রকমারি পালাজ্জো, কোনোটার ঘের অনেক বেশি, কোনোটার আকার স্কার্টের মতো, কোনটা আবার কুঁচি দেওয়া। সাধারণ সালোয়ারের পাশাপাশি চলেছে প্যান্টধর্মী সালোয়ার, নিচে বোতাম দেওয়া, ডিভাইডার ইত্যাদি ।
২০১৯ এর ফ্যাশনেও থাকবে নানান পরিবর্তন।
২০১৮ সালের ফ্যাশন সম্পর্কে জানতে চাইলে, ডিজাইনার ও বিবিয়ানা’র কর্ণধার লিপি খন্দকার বলেন, “২০১৮ সালে ফ্যাশনে কোনো ধারাবাহিকতা ছিল। সবাই মোটামোটি নিজের রুচি ও পছন্দ মতো পোশাক বেছে নিয়েছিল। তাছাড়া বেশ উজ্জ্বল ও রঙিন পোশক পরতেই দেখা গেছে তরুণ সমাজকে।”
নিজের পছন্দ মতো পোশক পরার বিষয়টাকে ইতিবাচক ভাবে দেখছেন লিপি খন্দকার। তিনি মনে করেন, তরুণরা এখন সামাজিক যোগাযোগ ও ইন্টারনেটের সাহায্যে অনেক সচেতন। একটা নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ না করে তার সঙ্গে যেটা মানানসই সেই ধরনের পোশক পরে অথবা পরীক্ষামূলক ভাবে পোশাক নির্বাচন করে পরেছে।
২০১৯ সালের ফ্যাশন নিয়ে কী ভাবছেন?
একই প্রশ্নের জবাবে রং বাংলাদেশের সৌমিক দাস বলেন, “ফ্যাশনের সবচেয়ে বড় স্থান দখল করেছে তরুণরা। তারা দেশীয় ও বিদেশি স্টাইলকে সমানভাবেই গ্রহণ করেছে। তাই দেশীয় ঐতিহ্যের পাশাপাশি, ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে ফিউশনের প্রতিও মনোযোগ দেওয়া হবে।”
লং ড্রেস, গাউন-ধর্মী পোশাক ইত্যাদির প্রাধান্য থাকবে বলে জানান তিনি।
তন্তু হিসেবে বরাবরের মতো সুতি থাকবে। সঙ্গে লিনেনও বেশ বড় একটা স্থান রাখবে। এক্সক্লুসিভ পোশাকের ক্ষেত্রে হাফ সিল্ক, মসলিন ইত্যাদি কাপড়ের প্রাধান্য থাকার কথা জানান সৌমিক দাস।
পোশাকের রংয়ের ক্ষেত্রে সময় উপযোগী ও উৎসব ভিত্তিক রংই প্রাধান্য থাকবে এমনটাই জানিয়েছেন এই নকশাকার।
ফ্যাশনটা নিজের সঙ্গে মানানসই হওয়া জরুরি। সবারই আলাদা একটা স্টাইল আছে। সেই স্টাইলের সঙ্গে খাপ খায় এমন ধরনের পোশাক ও রং ব্যবহার করলে নিজের ব্যক্তিত্ব ভালো ভাবে ফোটানো সম্ভব।
ছবি সৌজন্যে: রঙ বাংলাদেশ ও বিবিয়ানা।