কারণ তেলাপিয়া মাছের ত্বক বা তেলে এক ধরনের ‘কোলাজেন’ থাকে যার সঙ্গে মানুষের ত্বকে থাকা প্রোটিনের মিল রয়েছে।
মিঠা-পানির এই মাছের ত্বকে আরও রয়েছে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান। যে কারণে এটি বেশি কার্যকর।
আর এসব তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্রাজিলের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ সিয়েরা’র স্নায়ুবিদ ফেলিপে রোচা।
আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্র্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে মিলে ক্ষতপূরণের প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করবে তেলাপিয়ার চামড়া, এমনটাই ভাবছেন এই চিকিৎসক।
বিশ্বব্যাপি মোট ৩০০ রোগীকে এক বিশেষ থেরাপির আওতায় এই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
থেরাপির প্রতিবেদনে বলা হয়, “যদিও অনেকেই তাদের পোড়া ক্ষততে মাছের চামড়া পেঁচাতে আগ্রহী ছিলেন না। তবে এখন অনেক শিশু রোগীও আসছেন এই চিকিৎসা নিতে।”
গবেষণার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘তেলাপিয়া মাছের চামড়া প্রথমত ‘স্টেরিলাইজড’ করতে হবে, এরপর দিতে হয় ‘রেডিয়েশন থেরাপি’, যাতে এতে থাকা বিভিন্ন ভাইরাস মারা যায়। সবকিছুর পর একে দুইবছর পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কেটে ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজের পরিবর্তে বসিয়ে দিতে হবে। এক সপ্তাহ পরে তা তুলে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতিতে প্রতিদিন ড্রেসিং করার প্রয়োজন নেই।’
আরও পড়ুন