স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে হিল জুতা ব্যবহারের নানান ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে এখানে জানানো হল।
হাঁটুতে চাপ ফেলা: উঁচু হিলের জুতা পরলে, হাঁটার সময় সাধারণভাবেই সোজা ভাবে হাঁটার প্রবণতা কাজ করে এবং হাঁটু ঠিকভাবে ঘুরতে পারে না। তাছাড়া হিল জুতা ঝাঁকুনি গ্রহণ করতে পারে না। ফলে হাঁটুর উপর চাপ পড়ে যা পরে অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
পিঠের নিচের অংশে ব্যথা: বেশি হাঁটা চলা বা ঘোরাফেরার জন্য পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হলে হাঁটাকে দায়ী করার বদলে উঁচু জুতাকে এর দায় ভার নিতে দিন। কারণ এই ধরনের পাদুকায় পায়ের সর্বত্র ওজন সমান ভাবে না পড়ে পিঠের নিচের অংশে বেশি পড়ে। ফলে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
পায়ে ব্যথা: সারাদিন উঁচু জুতা পরে থাকলে দিন শেষে যেন পায়ের বিশ্রাম হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। না হলে পায়ে ব্যথা দেখা দেবে।
মস্তিষ্কে প্রভাব: জুতার আকার মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে প্রভাব রাখে। অনেক সময় এটা মাথা-ব্যথা এমনকি ধমনীর ক্ষতির কারণ হতে পারে।
নখের সঠিক বিকাশ না হওয়া: বেশিরভাগ হিল জুতার সম্মুখভাগ সরু হয়। সেই তুলনায় পায়ের আকার অসম বর্গাকার হলে আঙ্গুলে চাপ পড়ে বেশি। ফলাফল নখের বৃদ্ধি ঘটে বাঁকিয়ে, ভেতরের দিকে। যা থেকে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
করণীয়
নিয়মিত উঁচু জুতা পরার অভ্যাস থাকলে কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। আর পছন্দের উঁচু জুতাগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানে পরার জন্য তুলে রাখুন।
হিলের বিকল্প
ক্ষতিকর বলে যে একেবারেই উঁচু হিলের জুতা বাদ দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বর্তমানে নানান ধরনের ফ্যাশনেবল জুতা পাওয়া যায়। এগুলো যেমন আরামদায়ক তেমনি দৃষ্টিনন্দন। তাই এই ধরনের জুতা বেছে নিতে পারেন।
বাড়তি প্যাড ব্যবহার
কোনোভাবেই যদি উঁচু জুতা বাদ দিতে না চান তাহলে বাড়তি গোড়ালিতে প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। যা পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে বাড়তি চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন-