ঘরে প্রশান্তির পরিবেশন তৈরি করতে

অপরিচ্ছন্ন, অগোছালো ও অপরিণত নকশা করা ঘর আপনার শক্তির অবক্ষয় ঘটায়। তাই মনে শান্তি আনতে আগে ঘরে প্রশান্তির পরিবেশ তৈরি করা দরকার।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2018, 10:38 AM
Updated : 15 Feb 2018, 10:39 AM

গৃহসজ্জাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘লন্ডন বেইস মিনিস্ট্রি অব কাম’য়ের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ৯৯ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে জায়গার পরিবর্তন মনের

বাড়তি জিনিস কমান: অকারণে অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমাবেন না। জাপানি লেখক মারিয়ে কোন্ডো’র ভাষায়, “যা কিছু আপনাকে আনন্দ দেয় না এবং কাজে লাগে না তা অযথা সাজিয়ে না রেখে ফেলে দিন।”

ঘর পরিষ্কার রাখুন: লেখক কেইসুকে মাৎসুমোতো তার ‘এ বুডিসট মঙ্কস গাইড’ গ্রন্থে ঘর ও মন পরিষ্কার রাখা সম্পর্কে লিখেছেন- ‘আমরা পার্থিব যত্ন করার মাধ্যমে ময়লা দূরে রাখতে পারি। আমরা সাধারণ ভাবে বাঁচি এবং নিজেকে নিয়ে ভাবার জন্য সময় বের করি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত আনন্দের সঙ্গে বাঁচতে পারব’। ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে আমরা মনেও শান্তি ধরে রাখতে পারি।’

প্রাকৃতিক আলোর ব্যবস্থা:
আরাম করার জায়গায় উজ্জ্বল ফ্লুরোসেন্ট বাতির বদলে প্রাকৃতিক আলোর ব্যবস্থা করুন অথবা মোমবাতি জ্বালান। আলোর বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা রাখুন। এটা আপনাকে আলোর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। ছাদ থেকে সরাসরি আলো পড়ে এমন আলোক ব্যবস্থা এড়িয়ে চলুন।

স্নিগ্ধ রং: ভারতীয় চিকিৎসক সিমা মিধা জানান, ‘রংয়ের ব্যবহার ব্যক্তি মনে প্রশান্তি আনে। তাই নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখতে সবুজ গাছ সাহায্য করে।’

সাধারণ শোবার ঘর: খুব বেশি কল্পনা প্রবণ হওয়া ঠিক নয়। এটা নেতিবাচক প্রভাব রাখে। ভারতীয় ফেংসুই বিশেষজ্ঞ এসবিএস সুরেন্দ্রান জানান, ‘শোবার ঘরে মৃদু আলো ব্যবহার করুন এবং সব রকমের প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। কোমল সাদা রংয়ের গালিচা ব্যবহার করুন। ’

সামান্য সাজসজ্জা: ঘরে আরামদায়ক-ভাব ধরে রাখার মূল মন্ত্র হল ‘সাধারণিকরণ’। আপনার পছন্দের ছবি বাদে অন্যান্য ছবি বা পেইন্টিং ঘর থেকে দূরে রাখুন।

সবুজায়ন:
সবুজ রং স্নায়ু ভালো রাখে। তাই মানসিক চাপ কমাতে ঘরে সবুজের ব্যবহার বাড়ান।

কোমলতা: সারা ঘরে কোমলতা ছড়িয়ে দিতে স্নিগ্ধ গালিচা বা ম্যাট ও বালিশ রাখুন। এটা আপনার ঘরে প্রশান্তি আনবে।

আরও পড়ুন