কোন পোকার কামড়ে কী করতে হয়

সব পোকার কামড়ে চিন্তায় পড়তে হয় না। তবে যন্ত্রণাটা ঠিকই ভোগ করা লাগে। মশা, মাকড়শা, ছারপোকা বা মৌমাছি কামড়ালে রয়েছে আলাদা আলাদা প্রতিকার।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2017, 11:42 AM
Updated : 9 Nov 2017, 11:42 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রচলিত প্রতিকার নিয়ে করা প্রতিবেদন অবলম্বনে কোন পোকার কামড়ে কী করা উচিত তা এখানে দেওয়া হল।

মশার কামড়: প্রতিদিন দুএকটা মশার কামড় খাওয়া হয়ই। তীব্র জ্বর, বমিভাব না হলে এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এর কারণ হল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মশার কামড়ের সঙ্গে আসা লালার সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত, তাই কামড়ানো অংশটি অনেক ফুলে উঠলে এবং চুলকালেও সারিয়ে তোলে অনায়াসেই। অস্বস্তি দূর করতে চাইলে কামড়ানো স্থানে বরফ ঘষতে পারেন।

মাকড়শা: বেশিরভাগ মাকড়শার কামড়ই বিষাক্ত নয়, তাই বিশেষ চিকিৎসারও প্রয়োজন নেই। কামড়ানো অংশটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি, প্রয়োজনে বরফ দিতে পারেন।

তবে কামড়ানোর স্থানে ব্যথা, ফুলে ওঠা, বমি ভাব, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে বুঝতে হবে হয়ত বিষাক্ত কোনো মাকড়শাই কামড়েছে। সেক্ষেত্রে স্পাইডারম্যান হয়ে যাব মনে করে বসে না থেকে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

ছারপোকা: রক্তচোষা এই পোকার কামড়ে প্রচণ্ড চুলকানি হয়। অতিরিক্ত চুলকানোর কারণে ত্বকের জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। তাই আক্রান্ত স্থানে জীবাণুনাষক ক্রিম মাখতে হবে।

তবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল বিছানা পরিবর্তন করা এবং খাটের পায়াগুলোতে ছারপোকা নাষক ওষুধ ব্যবহার করা।

মৌমাছি: প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক এই পোকার কামড়। কামড়ানো স্থানের চারপাশ কয়েকদিন বেশ ভালোভাবে ফুলে থাকে এবং ব্যথা ও দপদপ ধরনের অনুভূতি হয়। চুলকায়। তবে চেষ্টা করতে হবে না চুলকানো। কারণ এতে বিষ ছড়িয়ে যেতে পারে।

ভোঁতা ছুরি কিংবা প্লাস্টিকের কার্ড দিয়ে কামড়ানোর স্থানে মৌমাছির হুল এখনও লেগে আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। থাকলে তা বের করে সেখানে জীবাণুনাষক ক্রিম মেখে নিতে হবে।

টিক: রক্তচোষা এই পোকার কামড়ে চিন্তার কিছু নেই। সাধারণত এই পোকাগুলো এমন স্থানে কামড়ায় যেখানে সহজে তাদের দেখা যাবে না এবং ওই স্থানেই ঢুকে থেকে রক্ত খেতে থাকে। কামড়ানোর স্থানে র‌্যাশ হয়। তবে প্রদাহ বা জীবাণু সংক্রমণ হলে অবহেলা করা উচিত হবে না।

শরীরের এই পোকা দেখলে টেনে বের করে ফেলে আক্রান্ত স্থানটি সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে এবং শরীরের আর কোথাও কামড়েছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে।

ফ্লি: এটিও রক্তপায়ী পোকা, যা মানুষ কিংবা জীবজন্তুর গায়ে বাসা বাসে। এর কামড়ে শরীরের লাল রংয়ের ফোলা অংশ তৈরি হয়, স্থানটি চুলকায়। এই পোকার আক্রমণ চোখে পড়লে সাবান ও পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ভালোভাবে ধুয়ে জীবাণুনাশক ক্রিম মাখাতে হবে।

জোঁক: চামড়ায় আটকে থেকে রক্ত খায় এই প্রাণী। তবে এই অবস্থায় কোনও ব্যথা হয় না। কারও ক্ষেত্রে সামান্য চুলকানি হতে পারে।

রক্ত খেয়ে ফুলে উঠলে জোঁক আপনাআপনিই খসে পড়ে। চামড়ায় লেগে থাকা অবস্থায় চোখে পড়লে জোঁকের উপর লবণ কিংবা ভিনিগার দিলে দ্রুত খসে পড়বে। তবে জোর করে টেনে খুলে আনার চেষ্টা করা উচিত নয়। কারণ এতে ত্বকে মারাত্বক প্রদাহ দেখা দিতে পারে।

জোঁক খসে পড়ার পর কামড়ানো স্থানটি সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে জীবাণুনাশক ক্রিম মাখাতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।