৪ নভেম্বর এই আয়োজনের শেষ দিনে প্রথমে মঞ্চে আসেন দেশি ফ্যাশনঘর বিবিআনার কর্ণধার লিপি খন্দকার। তার ডিজাইনের আঙ্গিক ছিল রিকশার হুডের নকশা, পরিবেশন করেন ১৪টি ডিজাইনের পোশাক।
দেশি ফ্যাশনঘর চন্দন’স-এর কর্ণদান চন্দনা দেওয়ান মঞ্চে আসেন দ্বিতীয় স্থানে। তিনি তার ডিজাইনের অনুপ্রেরণা নিয়েছেন রিকশাচিত্র থেকে। তার ঝুলিতেও ছিল ১৪টি ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, শেরওয়ানি ও ওড়না।
এবার ছিল রিফাত রেজা রাকার পালা। তিনি ডিজাইনে ক্যালিগ্রাফি নকশার মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের চেতনা তুলে ধরেছেন। এরপর শ্রীলংকার ডিজাইনার নীলান হারাসগামা তার শাড়ির পসরা নিয়ে আসেন।
কুহু দেখিয়েছেন পুরোনো সোনার গয়নার মোটিফ। বিপ্লব সাহা ও মারিয়া সুলতানা খাদিতে তুলে ধরেন পানাম নগরের লোহার গ্রিলের নকশা। ইজমাত নাজ দেখান কাঠের নকশা। পোশাকে পটচিত্র বেছে নেন তেনজিং চাকমা। রুপো শামস করেছেন পাখার নকশা। মাহিন খানের ডিজাইনে এসেছে শীতলপাটির নকশা।
এছাড়াও ভারতের হিমাংশু সোনি ও থাইল্যান্ডের মায়ে টিটা নিজেদের দেশের ঐতিহ্যবাহী নকশার পোশাক দেখান ফ্যাশন শোতে।
আর ৩ নভেম্বর ১৩ জন ডিজাইনার তাদের পোশাক উপস্থাপন করেন। তারা হলেন
শৈবাল সাহা, ফারাহ আঞ্জুম বারি, সারাহ করিম, সোম্রিতা মন্ডল, ফাইজা আহমেদ, নওশিন খায়ের, রাসনা শ্রেষ্ঠা, এমদাদ হক, আফসান ফেরদৌসি, ভুটানের ডিজাইনার চিমমি চদেন এবং মালেশিয়ার জ্যাকলিন ফং।
দুই দিনের ফ্যাশন শোতে মডেলদের সাজানোর দায়িত্বে ছিলেন ফারজানা শাকিল। কোরিওগ্রাফ করেন ইমু হাশমি।
এছাড়া ১০ ও ১১ নভেম্বর গুলশানের গার্ডেনিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে দুদিনের খাদি পণ্যের প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনী থাকবে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। উপস্থিত আগ্রহী অতিথিদের কাছে খাদি পণ্য বিক্রয়ও করা হবে।
খাদি উৎসব (ছবির গ্যালারি)