রুইলুই থেকে কংলাক পর্যন্ত সাজেজের পর্যটক এলাকার বিস্তৃতি হলেও এই সৌন্দর্যের কোনো নিদিষ্ট সীমানা নেই। যতটুকু চোখ যায় পুরোটা যেন নৈর্সগিক রূপের পালকে ভর করে থাকা এক অপার্থিব রূপ।
মেঘ যেন এখানকার নিয়মিত অতিথি। রাতের জমা মেঘের দল সকালে সূর্যোদয়ে সঙ্গে মিলিয়ে যায় ধীরে ধীরে। দুপুরে অ্দ্ভুত রং জমে সাজেকের আকাশ জুড়ে। আর দিন শেষে কাচালং রেঞ্জের পাহাড়ে সূর্যাস্তের আগে সোনালি আভায় ভরিয়ে দেয় দিগন্ত বিস্তৃত নীলপাহাড়গুলোকে।
উপত্যকার অচেনা সৌন্দর্যগুলো এখানেই ঢেকে আছে দুর্গমতায়।
মিজোরামের পাহাড় থেকে বেরিয়ে সূর্যটা যেন ভিন্ন রূপে দেয় সাজেক উপত্যকায়। দূরের পাহাড়ে বেয়ে ওঠা সূর্যে কিরণে পাল্টে যায় মেঘের রং, সোনা রং নিয়ে সূর্যের বেরিয়ে আসার দৃশ্যটা সাজেকের নিজস্ব সৌন্দর্য- সূর্য বোধহয় এমন ভাবে অন্য কোথাও ধরা দেয় না।
সময়ের আর্বতনে বদলে যায় সাজেকের রূপ। ঘন বর্ষায় মেঘে প্রবেশ করে শোবার ঘর পর্যন্ত। কখনও জোছনা রাতের আলোয় জমতে থাকে মেঘের দল। সবুজে পাহাড়ের মেঘ কখনও ধরা দেয় সমুদ্রের রূপে। সবুজ উপত্যকা, অপার্থিব সূর্যোদয়, জোছনায় ছড়িয়ে পড়া মেঘের দল, আকাশের মেঘের অনেক রং মিলিয়ে সাজেক যেন— অন্য জনপদের গল্পমালা। এক জাদুকরী প্রকৃতির রহস্য ঘেরা উপত্যকা।
কীভাবে যাবেন সাজেক: সাজেকের ভৌগোলিক অবস্থান পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে হলেও যোগাযোগের সুব্যবস্থা খাগড়াছড়ি হয়ে। সড়ক পথে ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সরাসারি যেতে হবে খাগড়াছড়ি শহর পর্যন্ত। ঢাকা থেকে অধিকাংশ বাসের খাগড়াছড়ি পর্যন্ত নাইট কোচ চালু আছে (এসি/ননএসি)। শ্যামলী, সেন্টমার্টিন, এস.আলম, সৌদিয়া, রিফাত, শান্তিসহ বিভিন্ন পরিবহন সংস্থার গাড়ি নিয়মিত চলাচল করে।
প্রয়োজনীয় তথ্য: সাজেকে থাকার ব্যবস্থা এখনও অপ্রতুল। তাই সাজেকের ভ্রমণের আগে অবশ্যই থাকার ব্যবস্থা করে নেবেন। এখানকার খাবার নিয়ম অর্ডার ভিত্তিক। আগে থেকে হোটেল অর্ডার দিয়ে না রাখলে খাবার পাওয়া কঠিন। খাওয়ার অর্ডার আধা ঘন্টা আগে দিলে তারপর খাওয়া মিলবে।
সাজেক ভ্রমণের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৮১৫-৮৫৬৪৯৭ নম্বরে।