প্রাকৃতিক নিয়মেই বুড়ো হতে হয়। তবে বয়সের তুলনায় নিজেকে তরুণ দেখাতে রয়েছে বেশ কিছু উপায়।
Published : 27 Feb 2016, 04:19 PM
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ভারতীয় ত্বকবিশেষজ্ঞ সুশমা মেহতা বলছেন, “বয়স হওয়া মানেই ত্বক ঝুলে পড়া, বলিরেখা দেখা দেওয়া নয়। জন্মের পর থেকেই ত্বকের বয়স বাড়তে শুরু করে, তাই ত্বকের যত্ন নেওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ত্বকে আছে দুই ধরনের আমিষজাতীয় আঁশ: কোলাজেন ও ইলাস্টিন। যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কারণ যেমন— মানসিক চাপ, পরিবেশ দুষণ, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ইত্যাদির কারণে এই উপাদানগুলোর উৎপাদন কমে যায়। পাশাপাশি এদের মধ্যকার বন্ধন দুর্বল হয়ে যায়। ফলে ত্বকে দেখা দেয় বলিরেখা, ভাঁজ, অসম গায়ের রং এবং রুক্ষতা।”
তাই বয়সের ছাপ পড়া পর্যন্ত অপেক্ষ না করে এখনই যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে।
ঘাম ঝরানো: শরীরচর্চার ফলে শরীরে ‘ফ্রি র্যাডিকেল’য়ের পরিমাণ কমে। এর মানেই হল স্বাস্থ্যোজ্জল ত্বক।
অতিবেগুনি রশ্মি রোধ: সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার একটি বড় কারণ। আর আমাদের দেশের মতো সূর্য মামার কৃপাদৃষ্টি থাকলে তো কথাই নেই। গরম ও ঠাণ্ডা সব আবহাওয়াতেই সূর্য মামার কৃপাদৃষ্টি থেকে বাঁচতে কমপক্ষে এসপিএফ ৩০ আছে এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। যারা বেশিসময় বাইরে থাকেন তাদের আরও বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস: আপনার ওজন যদি দ্রুত কমে যায় তবে তা খুশির খবর নাও হতে পারে। কারণ হয়ত আপনি শুধুই পানি ঝরাচ্ছেন, চর্বি নয়। আর এই ঝরা পানির প্রভাব সবার আগে চোখে পড়বে আপনার চেহারায়। ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকুক আর না থাকুক, খাদ্যাভ্যাস হতে হবে ভিটামিন, মিনারেল, চর্বিছাড়া আমিষ, শষ্যজাতীয় খাবার, ফল ও শাকসবজিতে ভরপুর।
ধূমপান পরিহার: যতবার সিগারেট পান করেন, ততবারই বয়স বেড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুতগামী হয়। এতে প্রচুর ‘ফ্রি র্যাডিকেল’ থাকে যা ত্বকের কোষের ক্ষতি করে। পাশাপাশি ঠোঁটে সিগারেট চেপে ধরাও ঠোঁটে রেখার সৃষ্টি করে।
প্রসাধনী: বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী পাওয়া। কোনোটা ত্বকের কোষে গিয়ে কাজ করে, কোনোটা আবার বাহ্যিক অংশে। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স থেকে ‘অ্যান্টি-এইজিং’ প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি থ্রি, প্রো ভিটামিন বি ফাইভ, গ্লিসারিন, গ্লাইকল ইত্যাদি উপাদানযুক্ত প্রসাধনী বেছে নিতে হবে। ভালো ফল পেতে দিনে দুইবার ‘অ্যান্টি-এইজিং’ প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত, সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে। দিনের বেলায় এই প্রসাধনী ব্যবহারের পর অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।