বিবাহিত কিশোরীরা নতুন সংসারে গিয়ে যেমন শারীরিক ও মানসিক চাপে পড়েন, তেমননি অকালে যৌনজীবনের অভিজ্ঞতা পাওয়া এবং গর্ভধারণ ভবিষ্যত জীবনে বিড়ম্বনা ডেকে আনে।
বাল্য বিয়ের নেতিবাচক দিক থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকা না গেলেও এক্ষেত্রে কিছু ‘সতর্কতা’র পরামর্শ দেন চিকিৎসক ও গাইনীবিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি কিশোরী বধূদের করণীয় বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেন নারী স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠান মেরিস্টোপ ক্লিনিকের চিকিৎসক গাইনী বিশেষজ্ঞ ফারহানা ফারুক।
তিনি জানান, ১৪ কিংবা ১৬ বছর বয়সে একটা মেয়ের শরীরিক গঠনের পরিপূর্ণতা আসেনা। আর ১৮ বছরে মেয়েদের বিয়ের প্রচলন থাকলেও মূলত ২০ বছরের আগে তাদের গর্ভধারণের পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন হয়না।
“সময়ের আগে যৌনজীবনে প্রবেশ মধ্য ও শেষ বয়সে জরায়ুতে নানা সমস্যা হতে পারে। ক্যান্সার, ব্যাকপেইন, রক্তশূন্যতা, হাতপায়ের ঝিমঝিম করাসহ নানা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন ওই কিশোরী।”
করণীয়
* পরিবারের জ্যেষ্ঠদের পরামর্শ ও সান্নিধ্যে থাকা। জ্যেষ্ঠদের উচিত দাম্পত্য জীবনে ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলোর বিষয়ে তাদের সতর্ক করা।
* ২০ বছরের আগে যাতে গর্ভধারণের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করা।
* কনডম ছাড়াও অন্যান্য নিরাপদ গর্ভধারণ নিরোধী মেডিক্যাল প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া।
* নিশ্চিত সুরক্ষার পেতে তিন বছর মেয়াদী ইনপ্ল্যান্ট, পাঁচ ও নয় বছর মেয়াদী আইডিইউ পদ্ধতির সাহায্য নিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
বিয়ে হয়ে গেলেও পড়াশোনাসহ অন্যান্য কাজে কিশোরীদের ব্যস্ত রাখাই বল্য বিয়ের ক্ষতি কমানোর সুন্দর উপায় বলে মনে করেন ডা. ফারহানা।